নোভাক জোকোভিচ বিদায় নিয়েছিলেন কাঁদতে কাঁদতে। সেমিফাইনালে এই কিংবদন্তিকে স্তব্ধই করে দিয়েছিলেন ইয়ানিক সিনার। ইতালিয়ান টেনিসের এই পোস্টার বয়ের জয়ের পরই নিশ্চিত হয়ে যায় এবার নতুন রাজা পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন।
মুকুটটা শেষ পর্যন্ত পেলেন সিনারই। র্যাংকিংয়ে তিন নম্বরে থাকা দানিল মেদভেদেভকে ৩-৬, ৩-৬,৬-৪, ৬-৪, ৬-৩ গেমে হারিয়ে জিতলেন ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম। যেটা ৪৮ বছর পর ইতালিয়ানদের মধ্যে প্রথম।
এর আগে দুবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনাল খেলেছেন মেদভেদেভ। ২০২২ সালে ছিলেন জয়ের দুয়ারেও। কিন্তু রাফায়েল নাদালকে প্রথম দুই সেট হারানোর পর ম্যাচ হেরে যান ৫ ঘন্টা ২৪ মিনিটের লড়াইয়ে। ঘড়ির কাটায় তখন রাত ১ টা ১১ মিনিট।
রবিবার ফাইনালে প্রথম দুই সেট মেদভেদেভ জিতেছিলেন ৬-৩, ৬-৩ গেমে। তৃতীয় সেটে ঘুরে দাঁড়ান সিনার। মেদভেদেভের একের পর এক ভুলের সুযোগ নিয়ে এই তরুণ সেটটা জিতেন ৬-৪ গেমে। জমজমাট এক ফাইনালের জন্য নড়েচড়ে বসেন দর্শকরা। পরের দুই সেট জিতে আবারও মেদভেদেভকে হতাশ করলেন সিনার। লিখলেন প্রত্যাবর্তনের এক মহাকাব্য।
রজার ফেদেরার, রাফায়েল নাদাল, নোভাক জোকোভিচ, অ্যান্ডি মারে-এই বিগ ফোর ২০০৪ সাল থেকে ৭৯টি গ্র্যান্ড স্লামের মধ্যে জিতেননি কেবল ১৪টি। তাদের শ্রেষ্ঠত্ব জানান দিচ্ছে এমন পরিসংখ্যানই। তবে সিনার এখন হতে পারেন তাদের যোগ্য উত্তরসুরী।
সিনার শৈশবে একাধিক পদক জিতেছেন স্কিংইয়ে। তার দ্বিতীয় পছন্দের খেলা ছিল ফুটবল। কিন্তু টেনিসে ক্যারিয়ার গড়তে বাড়ি ছাড়েন ১৩ বছর বয়সে।
ইতালিতে লাল চুলের এই খেলোয়াড়ের পরিচিতি পোস্টার বয় হিসেবে। ফেরারি তার ভীষণ পছন্দ। গাড়ির বিখ্যাত এই ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তিও আছে তার। ২২ বছর বয়সে ১২ মিলিয়ন ডলার উপার্জন করা সিনার গত বছর পৌঁছেছিলেন উইম্বলডনের সেমিফাইনালে। রবিবার তো জিতলেন প্রথম গ্র্যান্ড স্লামই।