দ্বাদশ সংসদে প্রধান বিরোধী দল কারা হচ্ছে – সে প্রশ্নেরই সুরাহা হয়নি। এর মধ্যে দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে মনোনীত করেছে জাতীয় পার্টি।
এছাড়া কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে বিরোধী দলের উপনেতা নির্বাচন করেছে দলটি। মহাসচিব মজিবুল চুন্নুকে মনোনীত করেছে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ হিসেবে।
বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে সকাল সন্ধ্যাকে নিশ্চিত করেন দলের মহাসচিব চুন্নু।
বিরোধী দলীয় উপনেতার দপ্তরে জি এম কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজউদ্দিন আহম্মেদকে বিরোধী দলীয় হুইপ হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
এসব সিদ্ধান্ত পরে লিখিতভাবে স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীকে জানানোর সিদ্ধান্ত হয়।
নিয়ম অনুযায়ী, জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের এই মনোনয়নের চিঠি পাওয়ার পর স্পিকার তাতে সম্মতি দিলে তবেই তা কার্যকর হবে।
সাধারণভাবে সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসনে জয় পাওয়া দলই বিরোধী দল নির্বাচিত হয়। তারা যাকে বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচন করবে, তিনিই পাবেন সে দায়িত্ব।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১১টি আসনে জয় পায় জাতীয় পার্টি। অন্যদিকে ৬২ আসনে জয়লাভ করে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ফলে নতুন সংসদে বিরোধী দলের আসনে কে বসবে— তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে।
যদিও দল হিসেবে ১১টি আসন পাওয়ায় জাতীয় পার্টি মনে করছে, তারাই বসতে যাচ্ছে বিরোধী দলের আসনে।
এ ব্যাপারে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের আসনে বসছে, এটা নিশ্চিত। নিয়ম অনুযায়ী অন্য কারও সংসদে বিরোধী দল হওয়ার সুযোগ নেই।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা শুধু সংসদে না, রাজপথেও বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করব।”
সংসদের কার্যপ্রণালী বিধিতে ‘বিরোধী দলীয় নেতা’র সংজ্ঞায় বলা হয়েছে- ‘স্পিকারের বিবেচনামতে যে সংসদ সদস্য সংসদে সরকারি দলের বিরোধিতাকারী সর্বোচ্চসংখ্যক সদস্য লইয়া গঠিত ক্ষেত্রমত দল বা অধিসঙ্ঘের নেতা।’