শিশুদের জন্য ডায়াপার বানাত জাপানের ওজি হোল্ডিংস। তারা ঘোষণা দিয়েছে, ছোটদের জন্য আর নয়, এখন তারা বড়দের জন্য বানাবে।
খবরটি দিয়ে যুক্তরাজ্যের দৈনিক গার্ডিয়ান লিখেছে, এই ঘটনায় এশিয়ার শিল্পোন্নত এই দেশটিতে বয়সী মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার প্রভাব বোঝা যাচ্ছে।
ওজি হোল্ডিংস জানিয়েছে, ছোটদের ডায়াপারের বাজার ক্রমেই ছোট হচ্ছে জাপানে, সেজন্যই তারা বড়দের ডায়াপার বানানোর দিকে ঝুঁকেছে।
২০০১ সালে যেখানে ওজি যেখানে বছরে ৭০ কোটি ডায়াপার উৎপাদন করত, তা কমতে কমতে এখন ৪০ কোটিতে দাঁড়িয়েছে।
সেই কারণে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ছোটদের ডায়াপার আর না বানানোর ঘোষণা দিয়েছে ওজি।
ছোটদের ডায়াপারের চাহিদা কমে যাওয়ার পাশাপাশি বড়দের ডায়াপারের চাহিদা দিনকে দিন বাড়তে দেখা যাচ্ছে জাপানে। সেই বাজারই ধরতে চাইছে কোম্পানিটি।
ওজি হোল্ডিংসের এক মুখপাত্র বলেন, এখন থেকে তারা বড়দের ডায়পার বানাবেন।
জন্মহার কমে যাওয়া তাদের ব্যবসার গতিপথ বদলে ভূমিকা রেখেছে বলে জানান তিনি।
জাপানে জন্মহার উদ্বেগজনক হারে কমছে। ২০২৩ সালে ১৫ লাখ মানুষের মৃত্যুর বিপরীতে জন্ম হয় মোটে সাড়ে ৭ লাখ শিশুর।
জাপানি টিভি এনএইচকের এক খবরে বলা হয়, দেশটিতে এখন ১৫ বছরের কম বয়সী মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশেরও কম। বিপরীতে ৬৫ বছরের বেশি মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশের মতোতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা স্থূল জন্মহারের চিত্র দেখে উদ্বিগ্ন। তিনি বলছেন, এটা একটা বড় সংকট হয়ে দেখা দিয়েছে।
জাপানের প্রতিজন নারী গড়ে ১ দশমিক ৩টি শিশু প্রসব করে। অথচ বর্তমান জনসংখ্যা ধরে রাখতে চাইলেও তাদের এই সংখ্যাটি ২ দশমিক ১ এ নিতে হবে।
সন্তান জন্মদান উৎসাহিত করতে নানা পদক্ষেপও নিচ্ছে জাপান সরকার। বাবা-মার ছুটি বাড়াচ্ছে, অর্থ সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে।
বড় পরিবার গড়তে সরকারের নানা উদ্যোগের পরও জাপানে পরিবারগুলো ছোট থেকে আরও ছোটই হচ্ছে।