জনপ্রিয়তা কমায় ফের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাপানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।
তিনি এরই মধ্যে তার দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) প্রধানের পদ ছেড়ে দিয়েছেন। সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকেও পদত্যাগ করবেন।
আর প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হবেন না জানিয়ে কিশিদা জানিয়েছেন, তার দলের একটি ‘নতুন সূচনা’ প্রয়োজন। এর মধ্য দিয়ে নতুন প্রধানমন্ত্রী পেতে যাচ্ছে জাপান।
বুধবার তার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার সময় সংবাদ সম্মেলনে কিশিদা বলেন, “আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জনগণকে দেখাতে হবে যে, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিতে পরিবর্তন হবে।
“একটি স্বচ্ছ ও মুক্ত নির্বাচন এবং অবাধ ও মুক্ত বিতর্ক গুরুত্বপূর্ণ। এলডিপিতে যে পরিবর্তন আসবে তা সহজে বোঝানোর জন্য প্রথম পদক্ষেপ হবে আমার সরে যাওয়া।”
সেপ্টেম্বরে দল নতুন নেতা নির্বাচন করার পর কিশিদা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। ২০২১ সালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী হওয়া কিশিদার বয়স এখন ৬৭ বছর।
দুর্নীতি কেলেঙ্কারির সঙ্গে দলের সংশ্লিষ্টতা, জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়তে থাকা এবং জাপানি মুদ্রা ইয়েনের দাম কমতে থাকায় কিশিদার সমর্থনও কমছিল।
জুলাইয়ে তার প্রতি অনুমোদনের রেটিং ১৫ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসে। এটি গত এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে জাপানের কোনও প্রধানমন্ত্রীর জন্য সর্বনিম্ন সমর্থন।
কিশিদা ২০২৫ সালের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে এলডিপিকে জয় এনে দিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে দলের ভেতরেও অনেকের সংশয় রয়েছে। দলটি ১৯৫৫ সাল থেকে প্রায় ধারাবাহিকভাবে জাপানের ক্ষমতায়।
তবে দলের ভেতরে কিশিদার অনেকে সমর্থকও রয়েছেন। তাদের মতে কিশিদা পররাষ্ট্র নীতি, প্রতিরক্ষা নীতি এবং দেশীয় রাজনীতিতে সফল একজন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু রাজনীতি ও অর্থসংক্রান্ত কারণে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বিবিসিকে বলেছেন, ক্ষমতাসীন দল ভাবমূর্তির সংকটে পড়ায় জাপান রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি