Beta
রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪

সহিংসতায় একজন বিদেশি হত্যার ঘটনায় মামলা, কে ছিলেন তিনি

গত ৫ আগস্ট যশোরে হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনালে আগুন দেওয়া হলে মারা যান ২৪ জন।
গত ৫ আগস্ট যশোরে হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনালে আগুন দেওয়া হলে মারা যান ২৪ জন।
[publishpress_authors_box]

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন যশোরে হোটেলে আগুন দিয়ে ২৪ জনকে হত্যার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।

এই নিহতদের মধ্যে ছিলেন একজন বিদেশি। তিনি ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক।

বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে সরকার পতন পর্যন্ত সহিংসতায় নিহত কয়েকশ মানুষের মধ্যে একমাত্র বিদেশি হলেন এই ব্যক্তি।

সহিংস এই আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর সারাদেশেই আওয়ামী লীগ কার্যালয়, দলটির নেতাদের বাড়ি ও স্থাপনা আক্রান্ত হয়েছিল।

সেদিন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের মালিকানাধীন হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনালে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাতে নিহত হন ওই ইন্দোনেশীয়সহ ২৪ জন।

ঘটনার ১৫ দিন পর হত্যার অভিযোগ এনে ২০০ জনকে আসামি করে সোমবার রাতে মামলা করেন শাহীন চাকলাদারের চাচাত ভাই যশোর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তৌহিদ চাকলাদার।

কোতোয়ালি থানায় করা এই মামলার এজাহারে বলা হয়, ৫ আগস্ট বেলা ৩টার দিকে ২০০ দুর্বৃত্ত গানপাউডার ও পেট্রোল নিয়ে হোটেলে ঢুকে প্রথমে লুটপাট চালায় এবং পরে হোটেলের ১ তলা থেকে ১৬ তলা পর্যন্ত আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

গত ৫ আগস্ট পুড়িয়ে দেওয়া হয় যশোরের হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনাল।

ইন্দোনেশিয়ার সংবাদপত্র জাকার্তা পোস্টে গত ৭ আগস্ট দাঙ্গার মধ্যে যশোরের হোটেল সে দেশের এক নাগরিকের নিহত হওয়ার খবরটি এসেছিল।

তাতে নিহত ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা না হলেও তার নামের আদ্যক্ষর দিয়ে পরিচয় জানানো হয়েছিল ‘DU (ডিইউ)’। তিনি ব্যবসার কাজে বাংলাদেশে এসেছিলেন।

ঢাকায় ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাস ওই ব্যক্তির লাশ দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ করছে বলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে জানানো হয়েছিল সেই সংবাদ প্রতিবেদনে।

গত ১৮ আগস্ট ইন্দোনেশিয়ার সাপ্তাহিক পত্রিকা টেমপো’তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬ আগস্ট ঢাকায় ইন্দোনেশিয়া দূতাবাস তার দেশের নাগরিক নিহত হওয়ার খবর জানতে পেরেই লাশ বুঝে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল। পাশাপাশি দেশে স্বজনদেরও তা জানানো হয়েছিল।  

এই পত্রিকায়ও নিহত ব্যক্তির পরিচয় শুধু ‘ডিইউ’ উল্লেখ করেছে। তার বয়স বলা হয়েছে ৫০ বছর।

এই ব্যবসায়ী একটি বৈঠকে অংশ নিতে গত ১ আগস্টই বাংলাদেশে এসেছিলেন। আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশে পাঁচ দিন পরই মারা যান তিনি।  

হোটেলে আগুন লাগানোর পর ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে তিনি মারা যান বলে ইন্দোনেশিয়া দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

টেমপো জানায়, পুলিশ ও হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঢাকায় ইন্দোনেশিয়া দূতাবাস ডিইউর লাশ বুঝে নিয়ে ১৪ আগস্ট দেশে ফের পাঠায়। তার আগে দূতাবাসে একটি জানাজা হয়, তাতে বাংলাদেশে দেশটির রাষ্ট্রদূত হেরু এইচ সুবোলোসহ দূতাবাস কর্মচারীরা অংশ নেন।

ডিইউর লাশ ১৪ আগস্ট ইন্দোনেশিয়ার সুকর্নো-হাত্তা বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পর সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় জাভা দ্বীপে সেমারাং এলাকায় তার বাড়িতে। সেখানে জানাজার পর ১৫ আগস্ট তাকে দাফন করা হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত