যুগটা এখন বাজবলের। টেস্টে ঠুকঠুক ব্যাটিং অচল। বলে বলে রান নিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য ব্যাটাররা। এমন সময়েই কিনা হাড় কিপটে বোলিংয়ের অনন্য রেকর্ড গড়লেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার জেইডন সিলস।
জ্যামাইকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে তার বোলিং ফিগার ১৫.৫-১০-৫-৪! মানে মাত্র ৫ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। তাতে কৃপণ বোলিংয়ে ভেঙে দিলেন একটা রেকর্ড।
অন্তত ৯০ বল করেছেন সেই হিসেব করলে সিলসের ০.৩১ ইকোনমিতে রান দেওয়াটা পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিংয়ের নজির। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দিল্লি টেস্টে উমেশ যাদবের বোলিং ফিগার ছিল ২১-১৬-৯-৩। ভারতীয় পেসার ওভারপ্রতি রান দিয়েছিলেন ০.৪২ ইকোনমিতে। জ্যামাইকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে উমেশের কীর্তি পেছনে ফেললেন সিলস।
১৭ টেস্টে সিলসের উইকেট ৭১টি। সেরা পারফরম্যান্স ৬১ রানে ৬ উইকেট। তবে জ্যামাইকায় যে রেকর্ড গড়লেন সেটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে টেস্ট ইতিহাসেই। কারণ পেসারদের মধ্যে এমন মিতব্যয়ী বোলিং নেই আর কারও।
সিলসের চেয়েও কিপটে বোলিংয়ের রেকর্ড আছে পেসারদের তবে তারা কেউ অন্তত ৯০ বল করেননি। ইংল্যান্ডের প্রয়াত ডানহাতি পেসার বব ওয়ায়েটই যেমন ১৯২৮ সালে ডারবান টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে ১৩ ওভারে ৩ উইকেট নেওয়ার পথে রান দেন ০.৩০ রেটে। তবে ১৫ ওভার বা ৯০ বল করেননি তিনি।
পেসার-স্পিনার মিলিয়ে এক ইনিংসে অন্তত ৯০টি বল করা বোলারদের মধ্যে সিলসের চেয়ে মিতব্যয়ী বোলিং করেছেন কেবল ভারতীয় স্পিনার রমেশচন্দ্র গঙ্গারাম নাদকার্নি। বাপু নাদকার্নি নামেই পরিচিত তিনি।
১৯৬৪ সালে চেন্নাইয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার বোলিং ফিগার ৩২-২৭-৫-০ মেডেন নিয়েছিলেন টানা ২১ ওভার। উইকেট না পেলেও তার ওভারপ্রতি ০.১৫ রেটের মিতব্যয়ী বোলিংয়ের রেকর্ড পেছনে ফেলতে পারেনি কেউ।
তিন বছর আগে কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯ বছর ৩৩৬ দিন বয়সে সিলস নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। তাতে আলফ ভ্যালেন্টিনকে টপকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বকনিষ্ঠ বোলার হিসেবে টেস্টে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েছিলেন এই তরুণ। একই ভেন্যুতে এবার গড়লেন অনন্য নজির।