Beta
বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫

এমপি আনার খুন : ভারতে গ্রেপ্তার ‘কসাই’ জিহাদ

আনোয়ারুল আজীম আনার। ফাইল ছবি
আনোয়ারুল আজীম আনার। ফাইল ছবি
[publishpress_authors_box]

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় জিহাদ হাওলাদার ওরফে ‘কসাই’ জিহাদকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।

তদন্তকারী সূত্রের বরাত দিয়ে শুক্রবার আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২৪ বছর বয়সী জিহাদের বাড়ি বাংলাদেশের খুলনায়। অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলে‌ন তিনি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এমপি আনারকে হত্যার প্রায় দুই মাস আগে অভিযুক্তরা জিহাদকে মুম্বাই থেকে কলকাতায় নিয়ে আসে‌ন। পুলিশের জেরায় এমপি আনারকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন জিহাদ।

তদন্তকারী সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার পত্রিকা আরও জানিয়েছে, গ্রেপ্তার জিহাদ জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, অভিযুক্ত আখতারুজ্জামানের নির্দেশেই সে সব কাজ করেন। জিহাদ ছাড়াও আরও চার বাংলাদেশি এই কাজে তাকে সাহায্য করেন। এমপি আনারকে তারা প্রথমে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। নিহতের পরিচয় যাতে বোঝা না যায় সেজন্য তারা শরীরের হাড়-মাংস আলাদা করে ফেলেন। এর পর হাড় ও মাংস টুকরো টুকরো করে কেটে পলিথিন ব্যাগে ভরে ফ্ল্যাটের বাইরে নিয়ে ফেলে দেন।

ঝিনাইদহ-৪ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তিনবারের সংসদ সদস্য আনার (৫৬) চিকিৎসার কথা বলে গত ১২ মে গিয়েছিলেন কলকাতায়। তিনি উঠেছিলেন বরাহনগরের সিঁথি এলাকায় তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস নামে এক সোনা ব্যবসায়ীর বাড়িতে।

গোপালের ভাষ্য অনুযায়ী, পরদিন দুপুরে চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে আনার বেরিয়েছিলেন ভাড়া করা একটি গাড়িতে। তারপর তার সঙ্গে আর দেখা হয়নি।

আনোয়ারুল আজীম আনার গত ১২ মে দর্শনা দিয়ে ভারত গিয়েছিলেন। পরদিনই কলকাতায় তিনি খুন হন।

ঢাকা থেকে আনারের মেয়ে ১৭ মে বাবার খোঁজ না পাওয়ার কথা গোপালকে জানালে পরদিন তিনি বরাহনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

তার সূত্র ধরে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কলকাতার নিউ টাউনের অভিজাত ভবন সঞ্জিবা গার্ডেন্সের একটি ফ্ল্যাটের সন্ধান পায়। বুধবার সেখানে তল্লাশি চালিয়ে জানায়, আনারকে এই ফ্ল্যাটেই হত্যা করা হয় বলে নিশ্চিত হয়েছেন তারা। ঢাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও জানান, আনার কলকাতায় পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।

গোপালের জিডির সূত্র ধরে কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গের সিআইডির তদন্তের মধ্যে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেন আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। এরমধ্যে বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশও তদন্তে নেমে তিনজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, কারা আনারকে হত্যা করেছে, তাদের চিহ্নিত করার ‘প্রায় কাছাকাছি’ এসে গেছেন তারা। এখন শুধু ঘোষণার বাকি।

এর কিছু সময় পরই সাংবাদিকদের ডেকে এই হত্যাকাণ্ডের আদ্যোপান্ত তুলে ধরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এমপি আনার হত্যার ঘটনায় জুবের নামে আরও এক সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। জুবেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এমপি আনার হত্যায় অভিযুক্তদের একজন দেখা করেছিলেন জুবেরের সঙ্গে। সেই বিষয়ে তদন্তকারীরা জানার চেষ্টা করছেন। এছাড়া এমপি আনার হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশে গ্রেপ্তার তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকায় গেছেন পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির একটি দল।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত