২০২৩ সালের বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে ফরম্যাটে আর কোনও ম্যাচ খেলেননি বেন স্টোকস ও জো রুট। এরপরও ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তাদের বিবেচনায় রাখছে ইংল্যান্ড। পাকিস্তানের ওই টুর্নামেন্টে শক্তিশালী দল পাঠানোর পরিকল্পনা ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি)।
ভারতের ওয়ানডে বিশ্বকাপে শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে নেমেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু ব্যর্থতার তলানিতে ডুবে শেষ হয়েছিল অভিযান। ওই বিশ্বকাপের পর ৫০ ওভারের ক্রিকেটে আর খেলেননি স্টোকস ও রুট। সেপ্টেম্বরে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। এই দলেও নেই দুজন। রুটকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। আর চোটের কারণে বিবেচিত হননি স্টোকস।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ শুধু নয়, নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাদা বলের লড়াইয়েও থাকতে পারছেন না এই দুজন। কারণ ওই সময় পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ রয়েছে ইংল্যান্ডের।
আগামী বছর ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে পাকিস্তানের মাটিতে হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির লড়াই। এই টুর্নামেন্টের আগে ফেব্রুয়ারির শুরুতে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে ইংলিশরা। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ‘প্রস্তুতিমূলক’ এই সিরিজে শুধুমাত্র খেলার সুযোগ রয়েছে রুট ও স্টোকসের।
ইংল্যান্ড দলের নির্বাচক লুক রাইট সরাসরি রুট ও স্টোকসের নাম উচ্চারণ না করলেও তার ইঙ্গিত পরিষ্কার, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে শক্তিশালী দল পাঠাতে চায় তারা।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) লর্ডসে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছেন, “আমরা যতটা সম্ভব শক্তিশালী হতে চাই। ওই সময় (চ্যাম্পিয়নস ট্রফি চলাকালীন) কোনও টেস্ট ক্রিকেট নেই। যেকারণে আমাদের শক্তিশালী দলকে খেলানো সুযোগ তৈরি হবে। সামনের বড়দিন পর্যন্ত প্রচণ্ড ব্যস্ত সূচি, ফলে এই (অস্ট্রেলিয়া সিরিজ সুযোগ পাওয়া) ছেলেদের দলে জায়গা পাওয়ার দাবি জানানোর বড় সুযোগ।”
ভারতের ওয়ানডে বিশ্বকাপ মোটেও ভালো যায়নি রুটের। উপমহাদেশের কন্ডিশনে দিতে হয়েছে কঠিন পরীক্ষা। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও এই চ্যালেঞ্জ থাকবে তার। যদিও রুটের ওপর পূর্ণ আস্থা আছে নির্বাচক রাইটের, “সে (রুট) ইংলিশ ক্রিকেটে অনেক কিছু দিয়েছে। ফলে বড় টুর্নামেন্টে সে যাবে না, এটা বলার কোনও সুযোগ নেই। আমরা সবাই জানি ইংল্যান্ড দলে রুটের গুরুত্ব কতটা।”
সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ওয়ানডে ও তিনটি ম্যাচের টি-টোয়েন্টির সিরিজের দল ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড। সুযোগ পেয়েছেন নতুন তিনজন- জ্যাকব বেথেল, জশ হাল ও জন টার্নার। বাদ পড়েছেন মঈন আলী ও জনি বেয়ারস্টো।
ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড: জস বাটলার (অধিনায়ক), জোফরা আর্চার, জ্যাকব বেথেল, ব্রেডন কারসি, জর্ডান কক্স, স্যাম কারেন, জশ হাল, উইল জ্যাকস, লিয়াম লিভিংস্টোন, সাকিব মাহমুদ, ড্যান মুসলি, আদিল রশিদ, ফিল সল্ট, রিস টপলি, জন টার্নার।
ইংল্যান্ডের ওয়ানডে স্কোয়াড: জস বাটলার (অধিনায়ক), জোফরা আর্চার, গাস আটকিনসন, জ্যাকব বেথেল, হ্যারি ব্রুক, ব্রেডন কারসি, বেন ডাকেট, জশ হাল, উইল জ্যাকস, ম্যাথু পটস, আদিল রশিদ, ফিল সল্ট, জেমি স্মিথ, রিস টপলি, জন টার্নার।
