ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে ৫ উইকেটে হারাল ইংল্যান্ড। তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথমটিতে জয়ের জন্য অলি পোপের দলের লক্ষ্য ছিল ২০৫ রান। জো রুটের ব্যাটে ভর করে লক্ষ্যটা চতুর্থ দিনেই পেরিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
শ্রীলঙ্কার হারের এই ম্যাচে বিতর্ক চলছে তৃতীয় দিন বল বদলানো নিয়ে। ইংল্যান্ডের অনুরোধে ৪১তম ওভারে বল বদলে দেন মাঠের দুই আম্পায়ার। তখন শ্রীলঙ্কার স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ১৪৬। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ অপরাজিত ছিলেন ৫৯ রানে আর কামিন্দু মেন্ডিস ২৪ রানে।
কিন্তু বদলানো বলে সিম ছিল বেশি। তাতেই বিভ্রান্ত হয়ে ম্যাথুজ ফিরেন ৬৫ রানে। কামিন্দু মেন্ডিস সেঞ্চুরি করলেও শ্রীলঙ্কা গুটিয়ে যায় ৩২৬-এ। বল বদলানো নিয়ে তাই অসন্তুষ্টি চেপে রাখেননি ম্যাথুজ, ‘‘মনে হচ্ছিল ওদের পরিকল্পনা কাজ করছিল না, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বল বদলানো হলো তখনই। আমাদের বলা হয়েছিল বদলানোর মতো যথেষ্ট পুরোনো বল ছিল না তাদের। এটাই (নতুন বল) পুরো মোড় বদলে দেয়। বল বদলানোর পর ম্যাচও বদলে যায়।’’
দুই বছর পর টেস্টে ফিরে গত মার্চে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিলেটে কামিন্দু মেন্ডিস করেছিলেন জোড়া সেঞ্চুরি। চট্টগ্রামে পরের টেস্টেতার দুটি ইনিংস অপরাজিত ৯২ ও ৯। ওল্ড ট্রাফোর্ডে সেই মেন্ডিস প্রথম ইনিংসে ১২ করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ১১৩। ইংল্যান্ডে টেস্টে সাত বা এর নিচে নেমে সেঞ্চুরি করা শ্রীলঙ্কার প্রথম ব্যাটার তিনি। ১৯৮৪ সালে লর্ডসে দুলিপ মেন্ডিসের সাতে নেমে করা ৯৪ রান ছিল এতদিনের সেরা।
২০৫ রানের লক্ষ্যে আক্রমণাত্মক শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। তবে ১১৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল তারা। তখনই অভিজ্ঞ জো রুট পঞ্চম উইকেটে জেমি স্মিথের সঙ্গে ৬৪ রানের জুটি গড়ে জয় এনে দেন ইংল্যান্ডকে।
রুট অপরাজিত ছিলেন ৬২ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৯ আর প্রথম ইনিংসে ১১১ রানের ইনিংসে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেমি স্মিথের।
শ্রীলঙ্কা: ২৩৬ ও ৩২৬ (কামিন্দু, ১১৩, চান্দিমাল ৭৯, ম্যাথুজ ৬৫; পটস ৩/৪৭, ওকস ৩/৫৮)।
ইংল্যান্ড: ৩৫৮ ও ২০৫/৫ (রুট ৬২*, স্মিথ ৩৯, লরেন্স ৩৪; ফার্নান্ডো ২/২৫, জয়াসুরিয়া ২/৯৮)।
ফল: ইংল্যান্ড ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : জেমি স্মিথ।