ইতালির ভেনিসে শহরে পর্দা উঠেছে তারকাবহুল ৮১তম ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবের। গুঞ্জন ছিল ‘জোকার: ফলিয়ে দ্যু’ সিনেমার সুবাদে টড ফিলিপসের হাতেই স্বর্ণসিংহ অর্থ্যাৎ গোল্ডেন লায়ন পুরস্কার উঠবে এবারও।
সিনেবোদ্ধাদের আন্দাজ সত্যি প্রমাণ হয়েছে ৪ অক্টোবর ভেনিসে জোয়াকিন ফিনিক্স ও লেডি গাগা অভিনীত এই সিনেমার ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারে।
২০১৯ সালের সিনেমা ‘জোকার’ জোয়াকিন ফিনিক্সের হাতে সেরা অভিনেতার অস্কার তুলে দিয়েছিল। আর-রেটেড সিনেমা ‘জোকার’ বক্স অফিসে সংগ্রহ করেছিল ১০০ কোটি ডলার। ১৭ বছরের নীচে বয়সীদের জন্য ‘রেসট্রিকটেড’ কোনো সিনেমা সেই প্রথম বিশ্বে এতো আয়ের মুখ দেখেছিল।
২০১৯ সালের পর এবার আবারও ভেনিসের আসরে জোকার সিনেমার সিকুয়েল তুলে নিলো গোল্ডেন লায়ন।
পরিচালক টড ফিলিপস অবশ্য উৎসবমুখর আসরেও নিজের অস্বস্তি চেপে রাখতে পারেননি। এই সিনেমার স্ক্রিপ্টের সহ-লেখকও তিনিই।
মঞ্চে তিনি টড ফিলিপস বলেন, “ভেনিসে ফিরে আসাটা একদম খাপে খাপে মিলে যাওয়ার মতো মনে হচ্ছে।
“এই মুহূর্তে আমার নিজেকে নার্ভাস মনে হচ্ছে যদিও। বাধ্যগত হয়ে আসার চেয়ে বিদ্রোহী হয়ে আসা অনেক বেশিই সহজ।”
আমেরিকান মিউজিক্যাল সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ‘জোকার’ সিকুয়েলের দ্বিতীয় পর্বের জন্য দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে জয়জয়কার চলেছে প্রায় সাড়ে ১২ মিনিট ধরে।
থিয়েটার হলে সবাই কখনও ‘ব্রাভো বলে উৎসাহ দিচ্ছিলেন। কখনও আবার ‘গাগা’ কিংবা ‘জোয়াকিন’ নামেও হর্ষধ্বনি শোনা যাচ্ছিল।
এসময় মার্কিন গায়িকা ও অভিনেত্রী লেডি গাগা হাত তুলে সবাইকে সাড়া দেন।
এদিন লালগালিচায় কালো প্লিটেড স্কার্ট আর লেস বসানো হেডপিস পরে সবার নজর কাড়েন লেডি গাগা। প্রিমিয়ারে তার সঙ্গ দিয়েছেন বাগদত্তা মাইকেল পোলানস্কি।
সমালোচকদের কাছে দুরকম মন্তব্য পেয়েছে জোকার সিকুয়েল। কেউ বলেছেন ‘নিকষ অন্ধকার এবং দুঃসাহসিক’ সিনেমা। আবার কেউ বলেছেন ‘শ্রমসাধ্য কিন্তু একেবারেই ধীরগতির বিফল’ সিনেমা।
একজন ব্যর্থ কমেডিয়ান আর্থার ফ্লেক চরিত্রে কাজ করেছেন জোয়াকিন ফিনিক্স। আর হারলে কুইন চরিত্রে আছেন লেডি গাগা। আরখাম স্টেট হাসপাতালে হারলে কুইনের প্রেমে পড়েন আর্থার ফ্লেক। হাসপাতাল থেকে মুক্তির পর এই যুগল দুঃসাহসিক সব কাজে জড়িয়ে যায়।