অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে দুদকের করা আরেক মামলায় অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটুকেও।
দুদক কমিশনার মো. জহুরুল হক স্বাক্ষরিত তাদের মামলা প্রত্যাহারের অনুমোদনপত্র বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে দাখিল করা হয়।
দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর ও মীর আহমেদ আলী সালাম মামলা প্রত্যাহারের পৃথক আবেদন করেন।
দুই আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত তাদের অব্যাহতির আদেশ দেয়।
মামলা প্রত্যাহারের আবেদনে বলা হয়, ক্রিমিনাল ‘ল’ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৫৮ এর ১০(৪) ধারা ও ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৫ ধারার বিধানে দুদক মামলা দুটির প্রসিকিউশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
তাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহারসহ তাদের কোনও সম্পদ ক্রোক, অবরুদ্ধ ও বিদেশ গমনের নিষেধাজ্ঞা থাকলে তার সব দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া প্রয়োজন।
২০২০ সালের ৩০ জুলাই অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ মামলাটি করেন।
গত ২৫ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, কোনও ধরনের বৈধ উপার্জন ছাড়াই তৌফিক ইমরোজ খালিদী এইচএসবিসি, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট্র ব্যাংক লিমিটেডের চারটি ব্যাংকের বিভিন্ন হিসাবে ৪২ কোটি টাকা জমা রেখেছেন।
‘ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে প্রতারণার মাধ্যমে’ তিনি এসব টাকা অর্জন করেছেন বলে মামলায় বলা হয়।
তবে তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তিনি বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন। তিনি আদালতে বলেন, “এ অভিযোগ এতটাই হাস্যকর, যুক্তিহীন ও ভিত্তিহীন যে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতাকে তা গভীরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে।”
বেঙ্গল গ্রুপ লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটুর বিরুদ্ধে ৯০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে ২০১৭ সালের ২৩ এপ্রিল মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক মোনায়েম হোসেন।
গত ১১ জুলাই দুদকর তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, বেঙ্গল গ্রুপ লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটুর দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১২ লাখ ৪১ হাজার ৮৩৭ টাকার তথ্য গোপনের প্রমাণ পাওয়া যায়। এর বাইরে দুদকের অনুসন্ধানে ৯০ কোটি ৩২ লাখ ৩০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।