যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আবুল কালাম আজাদ ও হুমায়ুন কবিরকে ৭ দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ। আবুল কালাম আজাদ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব ছিলেন আর হুমায়ুন কবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ।
রবিবার শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমানের আদালত এ অনুমতি দেয়।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক তন্ময় কুমার বিশ্বাস তাদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
বাদী ও বিবাদী পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের ৭ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
পল্টন মডেল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর আলমগীর হোসেন এতথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ৫ অক্টোবর ঢাকার ধানমণ্ডি এলাকা থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদকে গ্রেপ্তার কথা জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ। পরে তাকে যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি মহাসমাবেশ ডাকে। এই মহাসমাবেশকে পণ্ড করতে একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় বিএনপির ঢাকার মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। এতে অনেক বিএনপির নেতাকর্মী আহত হন। যুবদল নেতা শামীম মারা যায়। এ ঘটনায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়।
আবুল কালাম আজাদ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সবশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আবুল কালাম আজাদ জামালপুর-৫ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। তবে গত ৫ আগস্ট তীব্র ছাত্র-গণআন্দোলনের মুখে সরকারের পতন ঘটলে অন্য সবার মতো পদ হারান তিনিও।
