মাঠ আর মাঠের বাইরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু জুড বেলিংহাম-জেডন সানচো। ইংলিশ জাতীয় দলে খেলেন দুজনই। একটা সময় একসঙ্গে খেলতেন বরুসিয়া ডর্টমুন্ডেও। ২০২০ ও ২০২১ এই দুই বছর ডর্টমুন্ডে দারুণ সময় কেটেছে তাদের।
দুজনকেই পেতে চেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে ১০৩ মিলিয়ন ইউরোয় বেলিংহামকে রিয়াল পেলেও সানচোকে ৮৫ মিলিয়ন ইউরোয় কিনে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এবারের মৌসুমটা দুজনের কেটেছে দুই রকম। বেলিংহাম হয়েছেন লা লিগার সেরা খেলোয়াড়। আর ম্যানইউ কোচ এরিক টেন হাগের সঙ্গে দ্বন্দ্বে সানচোকে ধারে আবারও পাঠানো হয়েছে ডর্টমুন্ডেই।
ডর্টমুন্ডের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে পৌঁছানোর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানও রেখেছেন সানচো। কাল (শনিবার) ওয়েম্বলিতে প্রিয় বন্ধু বেলিংহামের বিপক্ষে শিরোপার লড়াইয়ে নামবেন তিনি।
রিয়ালের তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়রও বন্ধু সানচোর। দুই বন্ধুকে ফাইনালের আগে তার বার্তা, ‘‘রিয়ালে আমার দুই বন্ধু বেলিংহাম আর ভিনিসিয়ুস আছে। সেমিফাইনালে বায়ার্নকে হারানোর পর ওদের বার্তা দিয়েছি। বলেছি,‘ ফাইনালে তোমাদের দেখব, নিশ্চিতভাবে উত্তেজনার ম্যাচ হতে যাচ্ছে। তর সইছে না আমার’। অসাধারণ একটা ম্যাচ হতে যাচ্ছে। রিয়ালের ইতিহাসই সাক্ষ্য দিচ্ছে ওদের হয়ে।’’
বেলিংহাম লা লিগার সেরা হলেও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতলে ব্যালন ডি’অরের অন্যতম ফেভারিট হয়ে উঠবেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ২০২২ চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে তার গোলেই লিভারপুলকে হারিয়েছিল রিয়াল। এবারও শিরোপাতেই চোখ ভিনিসিয়ুসের, ‘‘অবশ্যই (ফাইনালে স্কোর লাইন ২০২২-এর মত চাই)। গোলটা অবশ্য যে কেউ করলেই চলবে। ব্যালন ডি’অর জয় নিয়ে কখনও ভাবিনি। এই মৌসুমে আমার জন্য সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হবে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা।’’
কার্লো আনচেলত্তি রিয়ালের কোচ হওয়ার আগে রিয়ালে ৩ মৌসুমে ভিনিসিয়ুস করেছিলেন ১৪ গোল, ২৩ অ্যাসিস্ট। আনচেলত্তি দায়িত্ব নেওয়ার পরের ৩ মৌসুমে তার গোল ৬৮টি, অ্যাসিস্ট ৫৩টি। কৃতিত্বটা আনচোলোত্তিকেই দিলেন ভিনি, ‘‘এখন আমি অনেক পজিশনে খেলতে পারি। আর এভাবেই আগের চেয়ে নিজের খেলার উন্নতি করেছি। কোচ যা যা বলেন, স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি সবকিছুতে। তিনিই আমার খেলা বদলে দিয়েছেন।’’
২০২১ সালে চেলসির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন আন্তোনিও রুডিগার। এবার রিয়ালের হয়ে আরও একটি শিরোপা জেতার স্বপ্ন তার। ‘এল মুন্দো’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বললেন, ‘‘রিয়াল অনেকবারই চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে। এরপরও ব্যাপারটা বিশেষ কিছু। রিয়ালে এটা আমার প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল, উপভোগ করছি সময়টা। সবাই ফাইনাল নিয়ে মনোযোগী। এটা অতি উত্তেজনায় ভোগার সময় নয়। রিয়ালের সবাই আগে থেকে জানে কেমন থাকতে হয় এ ধরনের ম্যাচের আগে। কেউ যদি ১৪ বার চ্যাম্পিয়ন হয়, তখন আপনি ভাগ্যের কথা বলতে পারেন না। ’’
চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল নিয়ে কোন ভয় নেই বলেও জানালেন তিনি ‘‘ ভয় তো শুধু স্রষ্টার জন্য। একজন মানুষ হিসেবে আরেকজন মানুষকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমি মুসলিম, ভয় করি শুধু স্রষ্টাকে, যিনি সৃষ্টি করেছেন সবকিছুই।’’
