সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ বিচারিক ক্ষমতার মেয়াদ আরও ৬০ দিন বাড়ানো হয়েছে। নতুন করে বিশেষ বিচারিক ক্ষমতা পেয়েছেন কোস্ট গার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে থাকা সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন থেকে শুরু করে এর উপরের সমপদমর্যাদার কর্মকর্তারা।
বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে মাঠে রয়েছে সশস্ত্র বাহিনী।
শনিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও তাতে তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ১৫ নভেম্বর।
মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব জেতি প্রুর সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, “ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১২ (১) ও ১৭ ধারা অনুসারে সারাদেশে ৬০ দিনের জন্য এই প্রজ্ঞাপন কার্যকর থাকবে।”
এতে আরও বলা হয়, “সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (কোস্ট গার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ) বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা ৬০ দিনের জন্য বাড়ানো হলো।”
এর আগে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর ৬০ দিনের জন্য বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর কমিশন্ড কর্মকর্তারা বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হয়। তার ১৪ দিন পর ১ অক্টোবর আলাদা প্রজ্ঞাপন দিয়ে নৌ ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদেরও বিচারিক ক্ষমতা দেয় সরকার।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলন তীব্র হলে আগস্ট মাসে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যদের মোতায়েন করে আওয়ামী লীগ সরকার। তবে তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে ১৯ জুলাই সারাদেশে সান্ধ্য আইন জারির পাশাপাশি মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী।
তখন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য মাঠে নামে ২৭ হাজার সেনা সদস্য।
এরপর নানা ঘটনা পরিক্রমার মধ্য দিয়ে গেছে দেশ। তীব্র আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে।
তবে তখন দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছিল অরাজক পরিস্থিতি। থানাগুলোয় হামলা, লুটপাট ও হত্যার ঘটনা ঘটলে নিরাপত্তার স্বার্থে কর্মস্থল ছেড়ে যান পুলিশ সদস্যরা। সেই অবস্থায় ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে থানার নিরাপত্তার দায়িত্বও নেয় সেনা সদস্যরা।