দীর্ঘ ১৪ বছরের আইনি লড়াইয়ের পর মুক্তি বাতাসে শ্বাস নিচ্ছেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তিতে রাজি হওয়ার পর যুক্তরাজ্যের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে এরই মধ্যে তিনি স্বভূমি অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে গেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের গোপনীয় নথি ফাঁস করে ওয়াশিংটনের রোষে পড়া অ্যাসাঞ্জ চুক্তিতে নিজের ফৌজদারি অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন, যার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র তাকে মুক্তিতে আপত্তি জানায়নি।
সোমবার যুক্তরাজ্যের বেলমার্শ কারাগার থেকে বেরিয়ে অ্যাসাঞ্জ বিমানে অস্ট্রেলিয়া রওনা হন।
প্রথমে অস্ট্রেলিয়ার নিকটবর্তী প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ নর্দান মারিয়ানা আইল্যান্ডসে যান তিনি। এই দ্বীপপুঞ্জটি যুক্তরাষ্ট্রের অংশ। এর রাজধানী সাইপানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি জেলা আদালতে বুধবার অ্যাসাঞ্জের সাজা ঘোষণা করা হয়। তাতে তার ৬২ মাসের কারাদণ্ড হয়।
তবে অ্যাসাঞ্জকে আর যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে থাকতে হবে না। কারণ চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাজ্যের কারাগারে থাকার মেয়াদকেও তার সাজা ভোগের মেয়াদ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের কারাগারে গত পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে বন্দি ছিলেন অ্যাসাঞ্জ। সেখান থেকেই তিনি তাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়ার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন।
অ্যাসাঞ্জ বুধবার সাইপানে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে হাজির হওয়ার সময় সেখানে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত কেভিন রাডও ছিলেন।
সাইপানে যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট আদালতে রায় ঘোষণার পরই অ্যাসাঞ্জ নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যান। কেননা আদালত তাকে মুক্ত মানুষ হিসাবে ঘোষণা করে।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ওই দ্বীপপুঞ্জ যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ বা মূল ভূখণ্ড থেকে অস্ট্রেলিয়ার অনেক কাছাকাছি। অ্যাসাঞ্জ যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের কোনও আদালতে হাজিরা দিতে রাজি না হওয়ায় সেখানকার আদালতেই তার বিচার হয়।
শুনানিতে অ্যাসাঞ্জ যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য প্রাপ্তি এবং প্রকাশের ষড়যন্ত্রের একটি গুরুতর অভিযোগে দোষ স্বীকার করে নেন।
এদিন অ্যাসাঞ্জ আদালতকে বলেন, ২০১০ সালে যখন তিনি তার কাছে ফাঁস হওয়া গোপন ফাইলগুলো প্রকাশ করেছিলেন, তখন তিনি একজন সাংবাদিক ছিলেন। তার বিশ্বাস ছিল যে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনী অনুযায়ী সুরক্ষা পাবেন। কারণ ওই সংশোধনীতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়।
সাজা ঘোষণার পর অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী ব্যারি পোলাক বলেছেন, “উইকিলিকসের কাজ অব্যাহত থাকবে এবং আমার কোনও সন্দেহ নেই অ্যাসাঞ্জও বাক স্বাধীনতা এবং সরকারের স্বচ্ছতার জন্য তার কাজ চালিয়ে যাবেন।
“তিনি একটি শক্তিশালী কণ্ঠস্বর এবং এমন একটি কণ্ঠস্বর যাকে চুপ করানো যায় না এবং করানো উচিৎও নয়।”
উইকিলিকস একটি অলাভজনক সংবাদ প্রতিষ্ঠান, যা যুদ্ধ, গুপ্তচরবৃত্তি এবং দুর্নীতি সংক্রান্ত বিভিন্ন রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থার গোপন নথি ও ডাটাবেজ বিশ্লেষণ এবং ফাঁস করে। জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ২০০৬ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন।
উইকিলিকসের সবচেয়ে আলোচিত নথি ফাঁসের ঘটনা হলো ২০০০-এর দশকের প্রথম থেকে মাঝামাঝি সময়ে আফগানিস্তান ও ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের গোপন সামরিক নথি ও ভিডিও।
এসব নথি ও ভিডিওতে যুক্তরাষ্ট্রের হেফাজতে থাকা বন্দিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং বেসামরিকদের মৃত্যুর মতো বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, এই তথ্য ফাঁস ছিল বেপরোয়া এবং এতে তাদের জাতীয় নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চুক্তিতে কী আছে
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ থেকে প্রকাশিত একটি চিঠিতে চুক্তিটির বিবরণ দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, চুক্তি অনুযায়ী অ্যাসাঞ্জ যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তচরবৃত্তি আইনের অধীনে ফৌজদারি অপরাধমূলক অভিযোগে দোষ স্বীকার করবেন। অভিযোগটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত গোপন তথ্য বেআইনিভাবে পাওয়ার এবং প্রচার করার ষড়যন্ত্র সংক্রান্ত।
এই অভিযোগে ৬২ মাসের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। তবে চুক্তিতে বলা হয়, তিনি ইতোমধ্যেই যুক্তরাজ্যের কারাগারে যে সময়টি জেল খেটেছেন, তাও শাস্তি হিসেবে গণ্য হবে।
যুক্তরাজ্যের কারাগারে অ্যাসাঞ্জ ৬২ মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্দি ছিলেন। তিনি সেখানে ১৯০১ দিন কারাগারে ছিলেন। তাই অ্যাসাঞ্জকে আর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য বা অন্য কোনও কারাগারে যেতে হবে না।
২০১০ সালে সুইডেনেও অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনা হয়, যা তিনি অস্বীকার করেন।
তিনি ২০১২ সাল থেকে লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে সাত বছর অবস্থান করেন। তার দাবি ছিল, সুইডেনের মামলা তাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য একটি ষড়যন্ত্র।
সুইডিশ কর্তৃপক্ষ ২০১৯ সালে সেই মামলাটি খারিজ করে দেয়। কারণ মূল অভিযোগের পরে অনেক সময় কেটে গেছে।
তবে এরপর যুক্তরাজ্য কর্তৃপক্ষ তাকে গ্রেপ্তার করে। সুইডেনে প্রত্যার্পণের জন্য আদালতে আত্মসমর্পণ না করার অপরাধে তাকে গ্রেপ্তার করে যুক্তরাজ্য।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অ্যাসাঞ্জের চুক্তিতে উইকিলিকস ভবিষ্যতে কীভাবে কোনও গোপন বিষয় প্রকাশ করবে, সে বিষয়ে তার পক্ষ থেকে কোনও প্রতিশ্রুতি রয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ কে
৫২ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জ ১৯৭১ সালের জুলাই মাসে অস্ট্রেলিয়ার টাউনসভিলে জন্মগ্রহণ করেন।
কৈশোরেই তিনি অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে দক্ষ কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। ১৯৯৫ সালে একবার তাকে হ্যাকিংয়ের অপরাধে জরিমানা করা হয়েছিল। হাইস্কুল শেষে তিনি মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটিতে গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানে অধ্যয়ন করেন।
২০০৬ সালে ৩৫ বছর বয়সে তিনি উইকিলিকস প্রতিষ্ঠা করেন, যা এমন একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেখানে লোকে গোপন নথি ও ভিডিও বেনামে ফাঁস করতে পারে।
২০১০ সালে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ সংক্রান্ত ৯০ হাজারটিরও বেশি এবং ইরাক যুদ্ধের প্রায় ৪ লাখটি গোপন নথি প্রকাশ করার পর উইকিলিকস বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসে।
২০১১ সালে বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন দূতাবাস থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার গোপন কূটনৈতিক তারবার্তাও প্রকাশ করে উইকিলিকস। সেসবের কিছু আবার নিউ ইয়র্ক টাইমস ও দ্য গার্ডিয়ানের মতো পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়।
এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদ এবং সামরিক কর্মকর্তাদের ক্ষুব্ধ ও বিব্রত করে। তাদের অভিযোগ, এই ফাঁসকাণ্ড অনেকের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়।
২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সেনা গোয়েন্দা বিশ্লেষক চেলসি ম্যানিংকে উইকিলিকসে হাজার হাজার গোপন তারবার্তা ফাঁস করার দায়ে ৩৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে পরে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নির্দেশে ৭ বছর সামরিক কারাগারে থাকার পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের স্ত্রী স্টেলা অ্যাসাঞ্জও একজন আইনজীবী। ২০১১ সালে তার লিগ্যাল টিমের সদস্য হিসেবে কাজ করতে এসে অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে পরিচয় হয় তার।
অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে কাজ করার সময় নিজেকে এবং তার পরিবারকে রক্ষা করার জন্য তিনি ২০১২ সালে নিজের নাম বদলে সারা গঞ্জালেজ ডেভান্ট রাখেন।
এই দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে এবং ২০২২ সালের মার্চ মাসে যুক্তরাজ্যের বেলমার্শ কারাগারে তারা বিয়ে করেন। পরিবারটি অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করে।
তার কাজ এবং বছরের পর বছর কারাবাসের মাধ্যমে অ্যাসাঞ্জ অনেকের কাছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আন্দোলনের মুখ হয়ে ওঠেন।
অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ
২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্র অ্যাসাঞ্জকে ১৮টি অভিযোগে অভিযুক্ত করে। এর মধ্যে ১৭টি গুপ্তচরবৃত্তির জন্য, আর একটি কম্পিউটার অপব্যবহারের জন্য।
১৯১৭ সালের গুপ্তচরবৃত্তি আইনে তাকে অভিযুক্ত করা হয়, যা এর আগে আর কখনও ব্যবহৃত হয়নি।
এছাড়া ২০১০ সালের আগস্টে সুইডেনে দুটি যৌন নিপীড়নের অভিযোগেও অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। তবে পর্যাপ্ত প্রমাণ না পাওয়ায় সে অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়।
তবে একটি ধর্ষণের অভিযোগে পুনরায় তার বিরুদ্ধে সুইডেনে তদন্ত শুরু হয়। ২০১০ সালের নভেম্বরে সুইডিশ পুলিশ অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এরপর গ্রেপ্তার এড়াতে অ্যাসাঞ্জ লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। সেখানেই তিনি পরবর্তী ৭ বছর কাটিয়ে দেন।
২০১১ সালে ব্রিটেনের একটি জেলা আদালত অ্যাসাঞ্জকে সুইডেনে প্রত্যার্পণের নির্দেশ দেয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য অ্যাসাঞ্জের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর ২০১২ সালের জুনে তিনি ইকুয়েডরের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন।
২০১৯ সালে ইকুয়েডর অ্যাসাঞ্জের আশ্রয়ের মর্যাদা প্রত্যাহার করে এবং লন্ডন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর থেকে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি লন্ডনের বেলমার্শ কারাগারে ছিলেন। তাকে ২ মিটার প্রস্থ ও ৩ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি কারাগারে দিনের ২৩ ঘণ্টা নির্জনবাসে রাখা হত।
অ্যাসাঞ্জের মুক্তিতে বিশ্বজুড়ে প্রতিক্রিয়া কী
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজ মঙ্গলবার বলেছেন, তিনি অ্যাসাঞ্জকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অস্ট্রেলিয়ায় ফিরিয়ে আনতে চান।
অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য জুলিয়ান হিল বলেছেন, “বন্দিদশা থেকে দেশে ফিরে আসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিতে রাজি হওয়ায় অ্যাসাঞ্জের কোনও সমালোচনা করা উচিৎ হবে না। তার স্বাস্থ্য ভালো নেই।”
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল পার্টির এমপি বার্নাবি জয়েস বলেছেন, অ্যাসাঞ্জ যা করেছেন তা তিনি নৈতিকভাবে সঠিক বলে মনে করেন না। তবে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নথিগুলো ফাঁসের সময় অ্যাসাঞ্জ যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন না এবং তিনি মার্কিন নাগরিকও নন। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের তার বিচার করার এখতিয়ার কতটা, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
“বিষয়টি কীভাবে সামনে এগোয় সে সম্পর্কে আমাদের এখনও সতর্ক থাকতে হবে কারণ এটি শেষ হয়নি।”
সাংবাদিকদের সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট এর প্রধান নির্বাহী জোডি গিন্সবার্গ বলেছেন, অ্যাসাঞ্জের প্রত্যাশিত মুক্তির খবরে তিনি আনন্দিত। তিনি বলেন, চুক্তিটি অ্যাসাঞ্জকে মুক্তি দেওয়ার চাপ বেড়ে চলার মধ্যে প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসনের মুখ বাঁচানোর একটি উপায় ছিল।
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রোও এই খবরকে স্বাগত জানিয়ে এক্সে পোস্ট করেছেন, “অ্যাসাঞ্জের কারাবরণ এবং নির্যাতন বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর আক্রমণ।”
বলিভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসও এক্সে পোস্ট করেছেন। তিনি বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রের অপরাধ বিশ্বের কাছে প্রকাশ করার জন্য তাকে বহু বছর ধরে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল। তিনি যুদ্ধ এবং আক্রমণকে ন্যায্যতা দেয় এমন মিথ্যাকে প্রকাশ করতে এবং ভেঙে দিতে সহায়তা করেছিলেন। “
তথ্যসূত্র : আল জাজিরা