Beta
মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫

পরিস্থিতি বিবেচনায় সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
[publishpress_authors_box]

পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

পুলিশ নিজেদেরকে প্রস্তুত করে নেওয়ার পর সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফিরে যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্য করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে যারা পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করেছে, তাদের কোনও সমস্যা হবে না। পুলিশকে তার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস পুনরুদ্ধার করতে হবে। এ জন্য মন মানসিকতা পরিবর্তন করে ভালো কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে পুলিশ জনবান্ধব।

পুলিশের সেবা নিতে এসে যেন কেউ হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে খেয়াল রাখতে বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

“কেননা, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আপনারা চলেন। সাধারণ মানুষকে সম্মান করতে হবে। চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কাউকে গ্রেপ্তার করার সময় অবশ্যই নিজের পরিচয় দিতে হবে। কোন‌ো অবৈধ আদেশ পালন করা যাবে না।”

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার আন্দোলনের অন্যতম কারণ ছিল ঘুষ, দুর্নীতি ও দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি। পুলিশকে অবশ্যই ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত থাকতে হবে। দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মাদক ঢুকে গেছে। মাদকের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনতে হবে। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।

 “পুলিশকে মানুষের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করতে হবে। কেননা আমাদের ব্যর্থ হওয়ার কোনও অবকাশ নেই। কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে নিতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।”

তিনি এ সময় ধৈর্য সহকারে কর্মকর্তাদের বক্তব্য শোনেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।

মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম। তিনি বলেন, “একটি রক্তস্নাত অধ্যায়ের মাধ্যমে আমরা দ্বিতীয় বিজয় অর্জন করেছি। পুলিশের প্রতি যে জনপ্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে না পারলে সে বিজয় নস্যাৎ হয়ে যাবে। আমাদের পূর্ণ উদ্যমে কাজ আরম্ভ করতে হবে।”

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান। তিনি সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিচ্ছবি। সাম্প্রতিক আন্দোলনে ডিএমপির বিভিন্ন স্থাপনা ও যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্রুত এসব মেরামতের কাজ সম্পন্ন করা হবে।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বর্তমান সরকারের সঠিক দিকনির্দেশনায় পুলিশ অচিরেই জনবান্ধব একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।

এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে পৌঁছলে একটি সুসজ্জিত দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত