Beta
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫

বিচারফলের জ্ঞানকাণ্ড অনিঃশেষ!

মঈদুল ইসলাম। প্রতিকৃতি অঙ্কন: সব্যসাচী মজুমদার

জ্ঞান বাবুর কথা মনে আছে! জ্ঞানেন্দ্র নাথ বাঁড়ৈ। সেই যে, নড়াইলের সাবেক মুন্সেফ! ভারতীয় নাগরিক বলে পুলিশের উদ্ভট উদ্ভাবনে বিনা নোটিশে যিনি আইন-বিচার মন্ত্রণালয় থেকে ছাঁটাই (Terminate) হয়ে হয়েছিলেন সে-কোর্টেই বিচারপ্রার্থী! বছর দুয়েক আগে লিখেছিলাম তার কথা, ‘বিচারফলের জ্ঞানকাণ্ড’ শিরোনামে। অকাল বদলিচক্রে ১৯৯৪-এর অক্টোবরে গিয়ে আমি হয়েছিলাম সে-কোর্টের বিচারক, সিনিয়র সহকারী জজ। ছাঁটাই ছুটিয়ে চাকরিতে পুনর্বহাল চেয়ে মামলাটা করেছিলেন তিনি ১৯৭৮-এ ছাঁটাই হওয়ার পর পরই। আইন-বিচার সচিবের বিরুদ্ধে দেখে আকেলমন্দ বিচারকেরা কেউ মামলাটার শুনানি ধরেননি! টাইম পিটিশন চেয়ে নিয়ে টাইম পাস করে ফেলে রেখে যান ১৭টা বছর! বেচারা জ্ঞান বাবু এতদিন জন্মজেলা ফরিদপুরে ওকালতি করে জ্বলছিলেন!

আমি বেআক্কেল বিচারক এসে কয়েক মাসেই শুনানি ধরেছিলাম ১৯৯৫-তে, ছাঁটাই ছুটিয়ে চাকরিতে পুনর্বহালের ডিক্রি দিয়েছিলাম ১৯৯৬-তে, প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ের ফাঁকটুকুতে। ১২ জুনের নির্বাচনে গণতান্ত্রিক সরকার এসে বসা মাত্রই আইন-বিচার মন্ত্রণালয় ঝট করে জেলা জজে যায় আপিলে। তিন বছর পরে সে রায়-ডিক্রি উল্টে যায় সাবজজ কোর্টে (জেলা জজ থেকে আপিলটা শুনানিতে এসে)। দাঁতে দাঁত চেপে জ্ঞান বাবু ছুটে যান হাইকোর্টে রিভিশনে। সেকশনে আর কজলিস্টে ১৩টা বছর পড়ে থেকে থেকে শুনানির সিরিয়াল পান ২০১২-তে। বহাল হয় ছাঁটাই ছুটানো চাকরি ফেরানো আমার দেয়া রায়-ডিক্রিই। কী করা যায়, কী করা যায় করে আইন-বিচার মন্ত্রণালয় আড়াই বছর (৫১৭ দিন) বসে থেকে থেকে যায় আপিল বিভাগে। ২টা বছর চলার পরে তামাদি দোষে ২০১৬-তে সেটা খারিজ করে আপিল বিভাগ।

জ্ঞান বাবুর স্বাভাবিক চাকরির বয়সসীমা চলে যায় আরো দশ বছর আগে, ২০০৬-এ। চাকরি ফেরতের, পুনর্বহালের কাম সারা! এবার কী করা যায়, কী করা যায় করে শেষে আইন-বিচার মন্ত্রণালয় তাকে মুন্সেফ থেকে সাবজজ, অতিরিক্ত জেলা জজ, জেলা জজ হিসেবে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতিগুলোর একটাও না দিয়ে সেই নড়াইলের সাবেক মুন্সেফই রেখে ১৯৭৮-এর ১ মে (তাঁর ছাটাইয়ের দিন) থেকে ২০০৬-এর ১৪ জানুয়ারি (তাঁর স্বাভাবিক চাকরির সময়সীমার শেষ দিন) পর্যন্ত চাকরিরত গণ্য করে বকেয়া বেতনভাতা ও আর্থিক সব সুবিধা দেওয়ার আদেশ জারি করে ২০১৯-এর ৪ মার্চ তারিখে।

জ্ঞান বাবুর চলে যাওয়া ২৮ বছরের ‘ফিক্সেশন’হবে কিভাবে তাই নিয়ে নড়াইলের হিসাব রক্ষণ অফিস, জেলা জজ অফিস আর আইন-বিচার মন্ত্রণালয়ের চিঠি চালাচালিতে চলে যায় ২০১৯ সাল। বহুদিন বাদে ব্যাখ্যা মিললে বিল বানিয়ে দেখা যায় সামান্য সে-ক’টা টাকার বরাদ্দ নেই নড়াইল জজ কোর্টের বাজেটে! মন্ত্রণালয়ে টাকার বরাদ্দ চাওয়া হলে পড়ে যায় করোনা মহামারী। লেগে যায় ‘সর্বসাধারণ ছুটি’! বন্ধ অফিস-মন্ত্রণালয়, বন্ধ কোর্ট-কাছারি। বকেয়া বেতনভাতার চেকখানা পেতে না পেতেই বাহাত্তুরে বুড়ো মৃত্যুশয্যায় পড়েন ২০২১-এর নভেম্বরে। গ্র্যাচুইটির চেকটা যখন হাসপাতালে আসে তখন জ্ঞান হারানো জ্ঞান বাবু আইসিইউর বেডে! টানা ৪৩ বছরের আইনি লড়াইয়ে পেনশন লাগানোটা বাকি রেখেই শেষ নিঃশ্বাসটা ফেলে চলে যান ২২ নভেম্বর রাতে।

শেষ পর্যন্ত জ্ঞান বাবুর পেনশন লেগে চালু হয়েছে তার বিধবা স্ত্রীর নামে। তবে, ধরে বসেছে ফরিদপুর আইনজীবী সমিতি! আটকে দিয়েছে তার বেনেভোলেন্ট-এর পাওনা টাকা। কেটে দিয়েছে জ্ঞান বাবুর নাম আইনজীবী সমিতির খাতা থেকে। তার মরে যাওয়ার কারণে নয়! পুনর্বহাল না হওয়া মুন্সেফির বকেয়া বেতনভাতা সব পেয়ে যাওয়ার কারণে! কষ্মিনকালেও তিনি আইনজীবী ছিলেন না বলে নিজেরাই গুণে গণ্য করে নিয়েছে ফরিদপুর আইনজীবী সমিতি। চমৎকার! পয়সার বিনিময়ে যারা আদালতের দ্বারে বিচার প্রার্থনা করেন অন্যের জন্যে, নিজেদের মৃত সদস্যের বিধবা স্ত্রীর প্রতি তারা নিজেদের ঘরেই করেন অবিচার!  

চাকরিটা তার গেল কোন দোষে? জানল না রাষ্ট্রের চাকরি খোয়ানো শরীফ, জানলনা রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। মালিকানা বেদখল হয়ে গেছে খেকোদের পেটে! ছাঁটাইছুটাইয়ের এসব কাণ্ডকারখানাও ‘পিসো’দের জাস্টিসের নমুনা!

মুন্সেফি চলে যাওয়ার পর থেকে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ৪৩টা বছর জ্ঞান বাবু জীবিকা চালিয়েছেন তো ওকালতি দিয়েই। বিনিময়ে মাসে মাসে দিয়ে গেছেন আইনজীবী সমিতিতে চাঁদা, ওকালতননামার টাকা, আর বেনেভোলেন্ট ফান্ডের জমা। কর্পূর হয়ে উড়ে সেগুলো হয়ে গেছে হাওয়া? বেনেভোলেন্ট ফান্ডে তার জমা দেয়া টাকা সুদসমেত খাবেন তার অসহায়া বিধবা স্ত্রীর বদলে এখন পেশীওয়ালা পেশাজীবী উকিল ভাইসবেরা! এগুলোই ‘পিসো’দের জাস্টিসের নমুনা!

“বিনা দোষে দোষ ধরে নির্দোষের দণ্ড দানকাণ্ডকে, ক্ষমতার যত সব বিবেকহীন প্রয়োগকে ‘পিসোর জাস্টিস’ বলে’’ বলেছি ‘পিসোদের জাস্টিসের কবলে’ প্রবন্ধে। “ন্যায়বিচারের নামে এমন সব প্রহসনকে পিসোর জাস্টিস বলে” বলেছি ‘যেমতি বিচারি আমি’ গ্রন্থে সংকলিত ‘আইনের গতিপথে পিসোর প্রেতাত্মার ছায়া’ প্রবন্ধে। বিনা নোটিশে জ্ঞান বাবুর ছাঁটাই হওয়া, বিচারের রায় না মেনে বারে বারে আপিলে যাওয়া আর সময় খাওয়া, শেষটায় পুনর্বহাল মেরে দিয়ে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতিগুলো না দেওয়া সবই যে হয়েছিল ‘পিসো’দের জাস্টিসেই, সে-কথা বলার আর অপেক্ষাই রাখে না।

এবারে চক্কর ঘোরার পালা শুরু হয়েছে জ্ঞান বাবুর বিধবা স্ত্রীর! ঘুরছেন তিনি ফরিদপুর আইনজীবী সমিতি আর বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ঢাকা করে করে। আদৌ পাবেন কি তাঁর মৃত স্বামীর জমিয়ে রেখে যাওয়া বেনেভোলেন্ট ফান্ডের টাকাটা! কবে? তবে কি তাকেও ঘোরানো হবে হাইকোর্ট আর আপিল বিভাগের চত্বরে? মৃত্যুর আগে জ্ঞান বাবুর মতো বিচারফলের আঁটিটুকুও কি জুটবে তাঁর কপালে? সে ভরসাই-বা কি আছে!   

ভরসা করে গিয়েছিলেন দুদকের শরীফ বিনা নোটেশে ছাঁটাই হয়ে। রিট নিয়ে এক লাফে এক্কেবারে হাইকোর্টে, সেখানে রিটটাই স্থগিত হয়ে গেলে চট করে ছুটে যান আপিল বিভাগে লিভ পিটিশন নিয়ে। ভোগায়নি তাকে বেশিদিন। তিনি ছিলেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক। দুদকের চাকরি বিধিমালার ৫৪ বিধিতে বিনা নোটিশে ছাঁটাই হন ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২-এ, রায় নেমে গেছে ২০ ডিসেম্বর ২০২৩-এ। মাত্র ২২ মাসেই দিয়েছে তার কপাল ফরসা করে পত্রপাঠ বিদায় দিয়ে!  

তার আগে এক উপ-পরিচালক বিনা নোটেশে ছাঁটাই হয়ে রিট নিয়ে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন ২০১১ সালে। মাত্র দশ মাসে নিজের ছাঁটাই ছুটিয়ে চাকরি ফেরতের রায় পেয়েছিলেন ২০১১-তেই, দিয়েছিলেন দুদকের ৫৪ বিধিটাই বাতিল করিয়ে। সুড়ুৎ করে ঢুকে গিয়েছিলেন তিনি আবার দুদকে! দুদক তাকে আটকাতে যায়নি তখন আপিল বিভাগে।

২০১৪ সালে ২৫ বছর চাকরি পুরা হয়ে গেছে বলে দুদক তাকে Public Servant Retirement Act 1974-এর ৯(২) ধারায় বাধ্যতামূলক অবসরে ফেলে নতুন করে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ছুটেছিলেন আবার রিট নিয়ে হাইকোর্টে। দিশেহারা দুদক ২০১৪-তে তখন আটকাতে ছোটে আপিল বিভাগে ৫৪ বিধির লিভ পিটিশন নিয়ে! ২০১৬-এর নভেম্বরে সে লিভ পিটিশন খারিজ হলে ২০১৭ সালে দুদক আটকে রাখে রিভিউতে। এই রিভিউ শুনানিতে ওঠে শরীফের দরখাস্তের চোটে, ২০২২ সালে যখন ৫৪ বিধির দাখিল করা তার নতুন রিটটা শুরুতেই হাইকোর্টে স্থগিত হওয়ায় তিনি এসেছিলেন আপিল বিভাগে। শুনানি হয় ২০২২-এই, দুটোই এক সাথে গেঁথে।

রিভিউ মঞ্জুর হয়ে লিভও পেয়ে যায় দুদক। ২০২২ সালে দুদক আনে নতুন আপিল, ৫৪ বিধির ২০১১ সালের হাইকোর্টের সেই পুরাতন রায়ের বিরুদ্ধে। শরীফকে আসতে হয় লিভ পিটিশন হাতে, ৫৪ বিধির ২০২২ সালের হাইকোর্টের নতুন আদেশের বিরুদ্ধে। শুনানি হয় ২০২৩-এর মার্চে, দুটোই এক সাথে গেঁথে। সেটারই রায় নেমেছে বলে খবর রটেছে ২০ ডিসেম্বর ২০২৩-এ। রায়ের তারিখ ১৬ মার্চ ২০২৩ বলে স্পষ্ট লেখা আছে রায়ে! [রায় হওয়ার পরে নামতে সময় লেগেছে! হওয়ার তারিখটাই লেখা থাকে, নামার তারিখটা কেন জানি লেখে না পুনরায় রায়ে!]

এবারে বদলে গেল মতটা! এবারের রায়ের মোদ্দা কথা: Natural Justice চলে না ৫৪ বিধিতে! দুদকের ৫৪ বিধি ঠিকই আছে, সংবিধানের সাথে সামান্য সংঘর্ষ যদিও একটু মনে হচ্ছে! রাষ্ট্রের স্বার্থে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে ওটুকু সইতেই হবে! [বাহ্! এই না হলে কথা! রাষ্ট্রটা সৃষ্টি করতে জীবন দিতে হয়েছে লাখো শহীদের, এখন রাষ্ট্র আর রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখতে নাগরিকের চাকরিও বলি দিতে হবে বিনা কারণে! রাষ্ট্র কি নিতেই থাকবে? সামান্য চাকরির নিশ্চয়তাটুকুও দেবে না নাগরিকের!] টিকে গেল দুদকের ৫৪ বিধি।

তবে টিকল না সেই উপ-পরিচালকের ছাঁটাই! তার ছাঁটাই আদেশে কারণ হিসেবে মেলাগুলা দোষের কালিমা দেওয়া। কারণ দিয়ে ছাঁটাই চলবে না! ছাঁটাই হতে হবে বিনা কারণে! টিকে গেল তার চাকরি ফেরৎ দেওয়া ২০১১ সালের হাইকোর্টের রায়। কিন্তু, তার আগেই তিনি সসম্মানে গেছেন অবসরে! ২০১৪ সালের বাধ্যতামূলক অবসরের রিটটাতেও তিনি জিতে যান হাইকোর্টে। দুদকও লিভ পিটশন করেছিল বটে, তবে আপিল বিভাগে সেটা খারিজ হয়ে রায় হয় তার চাকরি ফেরতেরই। দুদক আর সেটা আটকাতে যায়নি রিভিউতে! তাকে আটকানোই ছিল যেহেতু ৫৪ বিধির লিভ পিটিশনে, তারপরে ২০১৭ সালের সেই রিভিউতে।

৫৪ বিধির রিভিউটা আটকেই রেখে সেটার কথা না তুলে বাধ্যতামূলক অবসরের লিভ পিটিশন খারিজের বিরুদ্ধে রিভিউ না করার সেই কথা বলে ভুজংভাজাং করে দুদক ২০২০ সালে চাকরির সব সুবিধা ও বকেয়া বেতনভাতার পাওনাগণ্ডাসহ স্বাভাবিক অবসরের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ থেকে ভূতাপেক্ষ অবসর দিয়ে সারে ৫৪ বিধিতে ছাঁটাই করে রাখা সেই উপ-পরিচালককে!  পাওনাগণ্ডা সব হাতে হাতে বুঝে নিয়ে মাসে মাসে পেনশন পেয়ে তিনি দিব্যি ছিলেন এবং আছেন ‘নো টেনশনে’ সেই ২০২০ সাল থেকে! শরীফকে যেতে হলো দীর্ঘশ্বাস ফেলে খালি হাতে! তার ছাঁটাই পরিষ্কার! দোষের কালিমা নেই এক রত্তি! ছাঁটাইটা তার একেবারেই বিনা কারণে। সেটা ঠিক হয়েছে কিনা ঠিক করতে হলে ‘চাকরি নট’ শরীফের আসতে হবে আবার হাইকোর্ট হয়ে!

রাষ্ট্রীয় দপ্তরের চাকরিটা তার গেছে একহাতা গোপন বিচারের ফাঁসিতে জীবন যাবার মতো করে! [অতি পরিচিত ক্রস ফায়ারের সাথেই যার একমাত্র তুলনা চলে! অকস্মাৎ অপঘাতে জীবন যাওয়া আর বিনা কারণে অকস্মাৎ চাকরি যাওয়ার মধ্যে পার্থক্য কি আছে?] কনফার্মও হয়ে গেছে তা সর্বোচ্চ বিচারালয়ের প্রকাশ্য বিচারে! চাকরিটা তার গেল কোন দোষে? জানল না রাষ্ট্রের চাকরি খোয়ানো শরীফ, জানলনা রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। মালিকানা বেদখল হয়ে গেছে খেকোদের পেটে! ছাঁটাইছুটাইয়ের এসব কাণ্ডকারখানাও ‘পিসো’দের জাস্টিসের নমুনা!

বিচারফলের জ্ঞানকাণ্ড নিয়ে বেশি কিছু আর কমু না! ‘পিসো’দের জাস্টিসের বিচার নিয়ে যদিস্যাৎ তারা আসেনই আবার কোর্টে, তবে জ্ঞান বাবুর মতো তাদেরও কি লড়তে লড়তে যেতে হবে মৃত্যুর পারে! মৃত্যুর আগে জ্ঞান বাবুর মতো বিচারফলের আঁটিটুকুও কি জুটবে তাদের কপালে? ‘শপথবদ্ধ’ এ-জমানাতে সে ভরসাও কি আছে!

লেখক: প্রবন্ধকার ও গ্রন্থকার; অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা জজ ও দুদকের সাবেক মহাপরিচালক।

ইমেইল: moyeedislam@yahoo.com

ad

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত