Beta
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

পাটশিল্পের সুদিন ফেরাতে সরকারের সহযোগিতা চান ব্যবসায়ীরা

ss-jute-3-6-24
[publishpress_authors_box]

পাটশিল্পের সুদিন ফেরাতে সরকারের সহযোগিতা চান ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, পাট পণ্যের গুণগত মান আগের থেকে অনেক উন্নত। তবে টেক্সটাইল মেশিনারিজ চালানোর মতো দক্ষ লোকবলের অভাব রয়েছে দেশে।

সোমবার এফবিসিসিআইয়ের পাট ও পাটপণ্য বিষয়ক এক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এসব কথা বলেন ব্যবসায়ীরা।

অগ্রিম আয়কর (এআইটি), টিডিএস, ভর্তুকির ওপর কর, কাঁচা পাটের উচ্চ মূল্য, ব্যাংক ঋণের চাপসহ নানা কারণে কারখানা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। পাট ও পাট পণ্যের বাজার আরও সম্প্রসারণ ও এই খাতের টেকসই উন্নয়নে সরকারের সহযোগিতা চান তারা।

ব্যবসায়ীরা বলেন, দীর্ঘসময় লোডশেডিংয়ের কারণে ডিজেল কিনে কারখানা চালাতে হচ্ছে। যার ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। এসময়, কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, পাটশিল্পের জন্য আলাদা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন, আধুনিক পাট কারখানা প্রতিষ্ঠায় সরকারের সহযোগিতা চান তারা।

মতিঝিলে এফবিসিসিআই আইকনে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।

তিনি বলেন, “বিভিন্ন কারণে আমরা পাটের বাজার হারিয়েছি। দেশে পাট চাষে নিম্নমানের বীজ ব্যবহৃত হচ্ছে। এই খাতের টেকসই উন্নয়নে দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারি-বেসরকারি খাতকে একইসঙ্গে কাজ করতে হবে।”

পাট খাতের উন্নয়নে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে সবরকম সহযোগিতা থাকবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, পাট পরিবেশবান্ধব শিল্প। বিশ্বব্যাপী এই শিল্পের চাহিদা আছে। তবে পাট খাতের টেকসই উন্নয়ন করতে হলে এটাকে আরও বেশি ব্যবহার উপযোগী করতে হবে। তা না হলে বাজার কমে আসবে।

এসময় সঠিক ও যৌক্তিক প্রস্তাবনা নিয়ে সরকারের কাছে উপস্থাপন করতে উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সভায় জেম জুট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, “স্বাধীনতার পরে পাট ও পাটজাত পণ্য ছিল অর্থনীতির অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। পাটশিল্পের সুদিন এখনও সামনে আছে। এজন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত