ব্যাপারটা বাংলাদেশে ঘটলে তোলপাড়ই হত রীতিমতো। ঠিক আগের সিরিজের সেরা খেলোয়াড়টিকে নিউজিল্যান্ড বাদ দিতে এক মুহূর্তও ভাবেনি। কারণ উইল ইয়ং খেলেছিলেন কেন উইলিয়ামসনের জায়গায়।
তা যতই ২৪৪ রান করে ম্যান অব দ্য সিরিজ হন না কেন, উইলিয়ামসন চোট কাটিয়ে ফেরায় কোপটা তার ওপরই পরেছে। কিন্তু কোথাও কোনো প্রতিবাদ নেই।
নিউজিল্যান্ড ইতিহাসের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার উইলিয়ামসনও মাস দুয়েক পর ফিরে জাত চেনালেন নিজের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে সুবাস পাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির।
সেটা না হলেও ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে সর্বোচ্চ ৯৩ রানের ইনিংসটি তারই। চোটের জন্য যে এতদিন মাঠের বাইরে ছিলেন এর প্রভাবই নেই তার ব্যাটে।
নিউজিল্যান্ড প্রথম দিন শেষ করেছে ৮ উইকেটে ৩১৯ রানে। টম ল্যাথাম ৪৭, রাচিন রবিন্দ্র ৩৪ আর গ্লেন ফিলিপস করেছেন ৪১* রান। শোয়েব বশিরের উইকেট ৪টি। সমান দুটি করে উইকেট গাস অ্যাটকিনসন ও ব্রাইডন কার্সের।
ডেভন কনওয়ের অসাধারণ ফিরতি ক্যাচ নিয়েছিলে গাস অ্যাটকিনসন। তিনি ফিরিয়েছেন ২৭৪ মিনিট ক্রিজে কাটিয়ে ১৯৭ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ৯৩ করা উইলিয়ামসনকে। অ্যাটকিনসনের একটু বাড়তি লাফানো বলটা খেলতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন জ্যাক ক্রাউলির হাতে।
তাতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরিটা হয়নি উইলিয়ামসনের। তবে দুই মাস পর ফেরাটা স্মরণীয় করলেন তিনি।