লাল ও কালো-দুই রকম মাটির পিচই তৈরি ছিল চেন্নাইয়ে। শেষ পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশ টেস্টটা হয়েছে লাল মাটির পিচে। সেখানে পেসারদের জন্য সহায়তা ছিল। দুই দলই তাই খেলায় তিনজন করে পেসার।
এখন আগ্রহ, দ্বিতীয় টেস্টের ভেন্যু কানপুরে কোন মাটির পিচে খেলা হবে? হিন্দুস্থান টাইমস এ নিয়ে লিখেছে, ‘‘শোনা যাচ্ছে গ্রিন পার্কের এই পিচটি হয়তো র্যাঙ্ক টার্নার হবে না। চেন্নাইয়ের লাল মাটির বদলে এখানে কালো মাটি থাকবে। বাউন্স বেশি হবে না এবং বল বেশি ক্যারি করবে না।’’
কানপুরের পিচ ধীর গতির হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এই পিচে বাউন্স থাকবে না। বল আসবে নীচু হয়ে। তিন পেসারের বদলে তাই তিন স্পিনার খেলাতে পারে দুই দল। ২০২১ সালে কানপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা ও অক্ষর প্যাটেলকে স্পিন ত্রয়ীকে খেলিয়েছিল ভারত। তিন স্পিনার খেলালে বিশ্রাম পেতে পারেন পেসার জাসপ্রিত বুমরা।
উইকেট যেমনই হোক, ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার এই টেস্টে একাদশে চান স্পিনার কুলদীপ যাদবকে।
ইএসপিএনক্রিকইনফোকে সঞ্জয় মাঞ্জরেকার বললেন, ‘‘কানপুরের পিচ যদি সবুজও হয় আর সূর্য মেঘের আড়ালে থাকে, তবু তাদের মনে রাখতে হবে সবুজ উইকেট শুধু কয়েক ঘণ্টাই সাহায্য করবে (ফাস্ট বোলারদের)। আর এর সুবিধা নেওয়ার জন্য বুমরা ও সিরাজই যথেষ্ট। আপনার হাতে যখন তিনজন পরীক্ষিত স্পিনার থাকবে, তিনজনকেই খেলানো উচিত। আমি মনে করি, কুলদীপ যাদবকে বসিয়ে রাখা এত সহজ নয়।’’
এমনকি চেন্নাইতেও কুলদীপকে দলে দেখতে চেয়েছিলেন মাঞ্জরেকার, ‘‘উইকেট টার্নিং নাও হলে চেন্নাইয়ে কুলদীপ যাদবকে খেলিয়ে সুবিধা নেওয়া উচিত ছিল ভারতের। কারণ, ভারতের পিচে সিমাররা এক থেকে দেড় দিনই শুধু সুবিধা পাবে। এরপর উইকেট স্পিনারদের সাহায্য করতে শুরু করে।’’