গত বছরই এক অনুষ্ঠানে কাশ প্যাটেলকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, “তৈরি হও কাশ, তুমি তৈরি হও।” ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর কি এখন কি সেই সময় এসে গেছে? ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো তো কাশ প্যাটেলকে পরবর্তী সিআইএ প্রধান বানিয়েই দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ার পর দুই ব্যক্তিকে নিয়ে মাতামাতি চলছে ভারতে। একজন হলেন পরবর্তী ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্সের স্ত্রী উষা ভান্স, আরেকজন হলেন কাশ প্যাটেল।
টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডে, ইকোনমিক টাইমসসহ ভারতের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বৃহস্পতিবারের একটি সংবাদ প্রতিবেদন ছিল কাশ প্যাটেলকে নিয়ে; তাতে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরবর্তী প্রধান হিসাবেই দেখানো হয়েছে।
তার সম্ভাবনাকে ভিত্তি দিচ্ছে ট্রাম্পের আগের প্রশাসনে কাশ প্যাটেলের দায়িত্ব পালন। ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের কর্মকর্তা ছিলেন কাশ। তখন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর চিফ অব স্টাফও ছিলেন তিনি।
রিপাবলিকান পার্টির সক্রিয় সদস্য কাশ প্যাটেল কংগ্রেস সদস্য ডেভিন নুনেজের সহকারী হিসাবেও কাজ করেছেন। প্রতিনিধি পরিষদে ইন্টেলিজেন্স কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন নুনেজ।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠজন হিসাবে পরিচিত কাশ প্যাটেল এবারের নির্বাচনের প্রচারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টানা লেগে ছিলেন।
বলা হয়, প্রথমবার ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকার সময়ই কাশ প্যাটেলকে সিআইএর উপপ্রধান করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তৎকালীন হোয়াইট হাইজের কর্মকর্তাদের বিরোধিতায় করতে পারেননি।
সেবার না পারলেও এবার আরও শক্তি নিয়ে হোয়াইট হাউজে ফিরতে যাওয়া ট্রাম্প তার নতুন প্রশাসন সাজানোর সময় সিআইএ প্রধান হিসাবে কাশ প্যাটেলকেই বেছে নেবে বলে আশা করছে ভারতীয়রা।
কাশ প্যাটেল নামে আমেরিকায় পরিচিত হলেও তার প্রকৃত নাম কাশ্যপ প্রমোদ প্যাটেল। তার বাবা-মা দুজনই গুজরাটি। তারা থাকতেন কানাডায়, পরে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে।
কাশ প্যাটেলের জন্ম ১৯৮০ সালে নিউ ইয়র্কে। ২০০২ সালে ইউনিভার্সিটি অব রিচমন্ড থেকে ইতিহাস ও আইনে ডিগ্রি নেন, দুই বছর পর ইউনিভার্সিটি কলেজ থেকে আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ে সনদ নেন তিনি।
২০০৫ সাল থেকে আট বছর তিনি আইনজীবী হিসাবে কাজ করেন ফ্লোরিডায়। ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ কাশ প্যাটেলকে তাদের জাতীয় নিরাপত্তা বিভাগের অ্যাটর্নি হিসাবে নিয়োগ দেয়।
তার তিন বছর পর তিনি প্রতিনিধি পরিষদের ইন্টেলিজেন্স কমিটিতে কাউন্সেলর হিসাবে যোগ দেন। এরপর তিনি কংগ্রেসম্যান নুনেজের সহকারীর দায়িত্ব নেন। ২০১৬ সালে ট্রাম্পের জয়ের পেছনে রাশিয়ার কারসাজির অভিযোগের তদন্ত ঠেকাতে কাশ প্যাটেলের ভূমিকা ছিল।