Beta
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫

যৌন ইচ্ছা বাড়াতে টেস্টোস্টেরন থেরাপি নিয়েছেন কেইট উইন্সলেট, আপনি কী ভাবছেন

Kate Winslate
[publishpress_authors_box]

শরীরের নানা পরিবর্তন, মুড সুইং এবং শারীরিক সুস্থতার ক্ষেত্রে  বিভিন্ন হরমোন রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এদের সামান্য গড়বড়ে শরীরে সৃষ্টি হতে পারে ভারসাম্যহীনতা।

হলিউড মেগা তারকা ৪৮ বছর বয়সী কেইট উইন্সলেট সম্প্রতি ‘হাউ টু ফেইল উইথ এলিজাবেথ-পার্ট ওয়ান’ এ বলেছেন, কখনো কখনো নারীরা লিবিডো কিংবা যৌন আকাঙ্ক্ষার অভাব বোধ করেন। তার মতে, টেস্টোস্টেরনের মাত্রার হেরফের হলে এমনটি ঘটতে পারে। তিনি তার এ ইচ্ছাটাকে মরে দিতে চান না বলেই নিয়েছেন টেস্টোস্টেরন থেরাপি।    

টেস্টোস্টেরন এবং শরীরে এর প্রভাব

এন্ডোক্রায়নোলজিস্ট ডাঃ মহেশ ডিএম এর মতে, “টেস্টোস্টেরন এমন একটি হরমোন যা পুরুষের অণ্ডকোষ, নারীদের ডিম্বাশয় এবং অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিতে অল্প পরিমাণে উৎপাদিত হয়। এটি পুরুষের প্রজনন টিস্যু, যেমন অণ্ডকোষ এবং প্রোস্টেটের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”

এন্ডোক্রায়নোলজিস্ট বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসক রাকেশ কুমার প্রসাদ বলেন, টেস্টোস্টেরন জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন ভূমিকা পালন করে।

মহেশ ডিএমের এই বক্তব্যের সঙ্গে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক যুক্ত করেন এন্ডোক্রায়নোলজিস্ট রাকেশ।

তার মতে-

  • বয়ঃসন্ধিকালে, এটি পুরুষের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক প্রজনন অঙ্গগুলির বিকাশকে তরান্বিত করে।
  • বয়ঃসন্ধিকালে, এটি উচ্চতা বৃদ্ধি, লিঙ্গ, অণ্ডকোষ এবং প্রোস্টেট গ্রন্থির বৃদ্ধি, এবং যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা, পেশি গঠন এবং শক্তি বৃদ্ধির জন্য দায়ী।
  • রাগ, ক্ষোভ এবং আক্রমনাত্মক আচরণগুলো টেস্টোস্টেরন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। নারীদের ক্ষেত্রেও এটি একই ভূমিকা পালন করে। নারী- পুরুষ উভয়ের যৌন আকাঙ্ক্ষা, উর্বরতা, নতুন রক্তকণিকা তৈরি, বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়ন, পেশি এবং হাড়কে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরন দায়ী।

টেস্টোস্টেরন প্রতিস্থাপন কী?

সহজ ভাষায়, টেস্টোস্টেরন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি হলো এমন একটি চিকিৎসা যার লক্ষ্য শরীরে এ হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি করা।

এ বিষয়ে ডক্টর মহেশ ডিএম বলেন, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, মেনোপজ বা অন্যান্য স্বাস্থ্যগত দশার কারণে যৌন ইচ্ছা কমে যায়। তাই নারীদের লিবিডো বা যৌন আকাঙ্ক্ষা বাড়ানোর জন্য টেস্টোস্টেরন থেরাপি ব্যবহার করার আগ্রহও দিন দিন বাড়ছে।

তবে এই প্রতিস্থাপনে আছে কিছু স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি

  • টেস্টোস্টেরনের উচ্চ মাত্রার কারণে মুখে ব্রণ হয় এবং ত্বক তৈলাক্ত হয়ে ওঠে। এছাড়া এটি কণ্ঠস্বরে সরাসরি প্রভাব ফেলে, শরীরের গন্ধে পরিবর্তন নিয়ে আসে এবং ঋতু চক্রে হেরফের ঘটায়।
  • এটি পেশীর অতিরিক্ত বৃদ্ধি ঘটায়, মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং ত্বকের রঙ বা টেক্সচারে পরিবর্তন আনে। এটি বৃদ্ধির কারণে মুড সুইং এর মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
  • এছাড়াও টেসটোসটেরনের উচ্চ মাত্রার ব্যবহারে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে। যার মধ্যে আছে কার্ডিওভাসকুলার সংক্রান্ত সমস্যা, যেমন হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক, লিভারের সমস্যা, রক্ত ​​জমাট বাঁধার ঝুঁকি এবং বন্ধ্যাত্ব।

তবে উপায়?

ডাঃ মহেশ ডিএম বলেন, “নারীদের টেস্টোস্টেরন থেরাপি নেওয়ার আগে, এটির উপযুক্ততা, সুবিধা-অসুবিধা এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো বিবেচনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ “

এ ব্যাপারে আরেক বিশেষজ্ঞ ডাঃ প্রসাদ বলছেন, “পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সত্ত্বেও, টেস্টোস্টেরন থেরাপি যৌন আগ্রহের বৃদ্ধি ঘটায়। চিকিৎসা ক্ষেত্রে এটি প্রমাণিত। এছাড়াও, টেস্টোস্টেরন যে প্রধান অঙ্গগুলোতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে তার মধ্যে একটি হলো কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের কিছু জৈব রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া, যা আলঝেইমার রোগের সাথে যুক্ত।” এবার, সিদ্ধান্ত আপনার।
(ইন্ডিয়া টুডে অবলম্বনে)

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত