তবে কি কাজী সালাউদ্দিনকে আরেক মেয়াদে সাফের সভাপতি পদে দেখা যাবে? সেই উত্তর সময়ের হাতে তোলা থাক। কিন্তু কাজী সালাউদ্দিনের সামনে নির্বাচনের দুয়ার এবার খুলে গেল।
কিভাবে? শুক্রবার শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে ছিল সাফের বিশেষ সাধারণ সভা। সেটি ছিল গঠনতন্ত্র সংশোধনের সভা। বর্তমান গঠনতন্ত্রে সাফের নির্বাচনকালীন সময় বয়স ৭০ বছরের নিচে থাকা বাধ্যতামূলক ছিল। এই বিশেষ সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বয়সের এই সীমারেখা তুলে দেওয়া হয়েছে।
সাফের গঠনতন্ত্র সংশোধনী প্রস্তাবে বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান আগেই ইতিবাচক সম্মতি দিয়েছিল। এই সভায় সংশোধন ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। ১৯৫৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন সালাউদ্দিন। ২০২৬ সালে সাফ নির্বাচনের সময় সেই হিসেবে তার বয়স হতো ৭২ বছর। যে বয়সে তিনি নির্বাচনে অযোগ্য ছিলেন।
কিন্তু এই সংশোধনের ফলে সাফের বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের পুনরায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। সাফের আগে এশিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এএফসিতেও বয়সের এই বাধা উঠানো হয়েছে।

২০০৮ সালে বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হন সালাউদ্দিন। এর পরের বছরই সাফের সভাপতি হয়েছেন। ২০০৯ থেকে টানা চার বার তিনি দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল ফেডারেশনের পদে রয়েছেন। সাফের গঠনতন্ত্রের ৩১ অনুচ্ছেদের ৪ নম্বর ধারায় রয়েছে, নির্বাহী কমিটির যে কোনো পদ সভাপতিসহ টানা তিন বার বা সব মিলিয়ে তিন বার অথবা ১২ বছরের অধিক সময়কাল অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন না। এই সংশোধনী আনা হয় ২০২২ সালে। ফলে সালাউদ্দিনের ২০১৮-২২ সালের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ এই আওতায় পড়েননি। ২০২৬ সালে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হলে এই আইনের আলোকে সেটাই হবে তার শেষ মেয়াদ।
সাফের বিশেষ সভায় বিশেষভাবে আমন্ত্রিত ছিলেন এএফসির সভাপতি শেখ সালমান।



