কিছুদিন আগেও সকাল সন্ধ্যাকে কাজী সালাউদ্দিন জানিয়েছিলেন, আগামী ২৬ অক্টোবরের বাফুফে নির্বাচনে অংশ নেবেন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন তিনি।
শনিবার বাফুফে ভবনে সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি নির্বাচন না করার ঘোষণা দেন। হঠাৎ ডাকা এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “২৬ অক্টোবরের নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করব না। আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত আপনাদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিলাম।”
বাফুফে সভাপতির নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার জন্য এবং তাকে পদত্যাগ করার জন্য গত এক মাস ধরেই বিভিন্ন সংগঠন ও সাবেক ফুটবলাররা আন্দোলন করে আসছিলেন।
তবে কি কোনও চাপের কাছে নতি স্বীকার করে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? যদিও এ প্রশ্নেরও কোনও জবাব দেননি তিনি।
২৬ অক্টোবর নির্বাচন পেছানোর দাবি করেছিল বাফুফে। যদিও ফিফা এই আবেদন নাকচ করে জানিয়ে দিয়েছেন কিছুদিনের মধ্যেই নির্বাচন হবে।
কিছু দিনের মধ্যেই বাফুফে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার কথা। সভাপতি পদে না নির্বাচন করে অন্য পদেও করতে পারতেন তিনি। যদিও এত আগে ঘোষণা দেওয়ার ব্যাখ্যা খানিকটা দিয়েছেন তিনি, “কোনও কনফিউশন যাতে না হয় এজন্য আগেভাগে এই ঘোষণা দেওয়া।”
২০০৮ সালের এপ্রিল থেকে টানা ৪ মেয়াদে সভাপতি পদে আছেন কাজী সালাউদ্দিন। সংবাদ সম্মেলনে এসে সাংবাদিকদের ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, “দীর্ঘদিন আপনাদের সঙ্গে নানা বিষয়ে অনেক কিছু নিয়ে আন্ডারস্টান্ডিং বা মিস আন্ডারস্টান্ডিং হয়েছে। চলার পথে এমনটা হতেই পারে। আমি কিছু মনে রাখব না। আশা করি আপনারাও রাখবেন না।”
যদিও কাজী সালাউদ্দিনের সময়ে বাংলাদেশ সাফ জিততে পারেনি। এই নিয়ে আক্ষেপ আছে কিনা, এটারও কোনও জবাব দেননি। শুধু বলেছেন, “৪ টার্ম বাফুফে সভাপতি হিসেবে কাজ করেছি। এজন্য নিজেকে সৌভাগ্যবান ভাবছি। আমি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি নির্বাচন না করার। কিছুদিন আগে অনূর্ধ্ব-২০ সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। এজন্য ভালো লাগা কাজ করছে।”