যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দেশটির ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর কমলা হ্যারিস প্রথমবারের মতো সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।
বর্তমানে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনরত হ্যারিস গত বৃহস্পতিবার সিএনএনের ডানা ব্যাশকে এই সাক্ষাৎকার দেন। এসময় হ্যারিসের সঙ্গে তার রানিংমেট তথা ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজও ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর একত্রে সাক্ষাৎকার দেওয়া একটি ঐতিহ্য। এই সাক্ষাৎকারেই ইঙ্গিত পাওয়া যায় কোনও প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী হলে কী ধরনের সরকার গঠন করবেন এবং তার নীতি কী হবে।
সাক্ষাৎকারে কমলা হ্যারিসকে প্রধানত কেন তিনি তার মূল নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো নিয়ে দৃঢ় অবস্থান থেকে সরে এসেছেন সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
কমলা হ্যারিস ২০১৯ সালেও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। সেবার তার প্রধান দুটি প্রতিশ্রুতি ছিল- গ্রিন নিউ ডিলে প্রস্তাবিত পরিবেশ আইন পাস করে ফ্র্যাকিং এবং অফশোর ড্রিলিং পদ্ধতিতে তেল-গ্যাস উত্তোলন বন্ধ করা এবং অভিবাসন সহজ করা।
গ্রিন নিউ ডিল জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় একটি বিস্তৃত প্রস্তাবনা। ফ্র্যাকিং হলো অতি উচ্চ-চাপে তরল প্রবাহিত করে ভূগর্ভস্থ পাথরের স্তরে ফাটল ধরিয়ে বা ছিদ্র করে খনি থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস বা তেল বের করা।
সমুদ্রের তলদেশেও এই পদ্ধতিতে তেল-গ্যাসের অনুসন্ধান করাকে অফশোর ড্রিলিং বলা হয়।
বিজ্ঞানীদের অভিযোগ রয়েছে, ফ্র্যাকিং পদ্ধতিতে তেল-গ্যাস উত্তোলন করলে প্রচুর পরিমাণে মিথেন গ্যাসও বেরিয়ে আসে। মিথেন বায়ুমণ্ডলে দূষণ সৃষ্টিকারী একটি গ্রিনহাউস গ্যাস, যা কার্বন ডাই অক্সাইডের চেয়েও বেশি ক্ষতিকর।
আর অভিবাসন বিষয়ে কমলার প্রতিশ্রুতি ছিল বৈধ কাগজপত্র ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকে অপরাধমুক্ত এবং কঠোর অভিবাসন ও কাস্টমস আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ‘আইস’কে বিলুপ্ত করা।
কিন্তু এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় কমলাকে তার সেসব প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসতে বা আরও নমনীয় অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
সিএনএনের ডানা ব্যাশ এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে কমলা হ্যারিস বলেন, “আমি মনে করি আমার নীতিগত দৃষ্টিকোণ ও সিদ্ধান্তের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক হল আমার মূল্যবোধ পরিবর্তিত হয়নি।
“আমি সর্বদা বিশ্বাস করে এসেছি জলবায়ু সংকট একটি বাস্তব ব্যাপার এবং আমি এটি নিয়ে কাজও করেছি। জলবায়ু পরিবর্তনের অবস্থা জরুরি ভিত্তিতে পরিমাপ করে এর জন্য একটি সময়সীমাও নির্ধারণ করা উচিৎ।”
তবে প্রেসিডেন্ট হলে তিনি ফ্র্যাকিং বন্ধ করবেন না বলে জানান। এ ছাড়া অবৈধ অভিবাসন বন্ধেও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে চলমান দায়িত্ব পালনকালেও তাকে এসব বিষয়ে আগের প্রতিশ্রুতির বিপরীত পদক্ষেপ সমর্থন করতে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, জলবায়ু নিয়ে কঠোর এবং অভিবাসন নিয়ে উদার অবস্থানের কারণে রিপাবলিকানরা হ্যারিসকে বিপ্লবী বামপন্থী বলে তকমা দিয়েছিল। এ কারণেই হয়তো তিনি তার নীতিতে পরিবর্তন আনেন।
বৃহস্পতিবারের সাক্ষাৎকারে কমলা হ্যারিস রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো বিভাজনমূলক বক্তব্যের সংস্কৃতি বদলানোর প্রতিশ্রুতিও দেন।
হ্যারিস বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি তার সরকারে একজন রিপাবলিকানকেও রাখবেন, যাতে তাকে সকল আমেরিকানের প্রেসিডেন্ট মনে হয়।
ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নীতিতে পরিবর্তনের কথাও আর বলছেন না হ্যারিস।
সাক্ষাৎকারে হ্যারিসকে প্রথমেই প্রশ্ন করা হয়েছিল, নির্বাচনে জিতলে তার প্রথম দিনের কাজ কী হবে। এর উত্তরে তিনি কোনও নির্বাহী পদক্ষেপ বা আদেশে স্বাক্ষর করার মতো কোনও নির্দিষ্ট কিছুর কথা বলেননি।
তার পরিবর্তে তিনি অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার ওপর তার মনোযোগে দেওয়ার কথা বলেন। হ্যারিস বলেন, “প্রথমত এবং সর্বাগ্রে আমার শীর্ষ অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে একটি হল মধ্যবিত্তকে সহযোগিতা এবং শক্তিশালী করার জন্য আমরা যা করতে পারি তা করা।”
দ্য গার্ডিয়ানের বিশ্লেষণে হ্যারিসের এই উত্তরকে অস্পষ্ট এবং দুর্বল বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
ফ্র্যাকিং, জলবায়ু ও অবৈধ অভিবাসন
ফ্র্যাকিং নিষিদ্ধ করার বিষয়ে তার মত বদলানো সম্পর্কে হ্যারিস বলেন, তিনি নিশ্চিত যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেল সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্যমাত্রা নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই পূরণ করা যাবে।
২০১৯ সালে হ্যারিস অবৈধ অভিবাসীদের আটক কেন্দ্রগুলো বন্ধ করার এবং অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দেওয়াকে অপরাধমুক্ত করার পক্ষেও সমর্থন করেছিলেন।
কিন্তু চলতি বছরের শুরুর দিকে তিনি একটি দ্বিদলীয় সীমান্ত সুরক্ষা বিলে সমর্থন দেন। বিলটিতে আরও সীমান্ত দেয়াল নির্মাণের জন্য কয়েক মিলিয়ন ডলার অন্তর্ভুক্ত ছিল।
অথচ ট্রাম্প চুক্তিটি বাতিল করার জন্য কংগ্রেসে রিপাবলিকানদের চাপ দিয়েছিলেন। হ্যারিস সিএনএন সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের ওই প্রচেষ্টাকে একটি নিষ্ঠুর রাজনৈতিক পদক্ষেপ বলে আখ্যায়িত করেন।
এসময় হ্যারিস ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে কাজ করার সময় সীমান্ত পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত গ্যাংদের বিচারে তার রেকর্ডের উল্লেখ করে অভিবাসন নিয়ে তার মূল্যবোধের ইঙ্গিত দেন।
বৃহস্পতিবার হ্যারিস তার জলবায়ু রেকর্ডের উদাহরণ হিসেবে বাইডেন প্রশাসনের মুদ্রাস্ফীতি কমানোর আইনের দিকে ইঙ্গিত করেন। যার ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রেকর্ড পরিমাণ বিনিয়োগ হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমরা গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বব্যাপী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। সেটা পরিবর্তিত হয়নি।
“আমি যা দেখেছি তা হল, ফ্র্যাকিং নিষিদ্ধ না করেও আমরা একটি সমৃদ্ধ ও দূষণমুক্ত জ্বালানি অর্থনীতি তৈরি করতে পারি।”
বাইডেনের গাজা নীতি অব্যাহত থাকবে
কমলা হ্যারিসকে গাজা যুদ্ধ সম্পর্কেও প্রশ্ন করা হয়েছিল। এই বিষয়ে তিনি বাইডেন প্রশাসনের নীতি অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত দেন।
হ্যারিস বলেন, ইসরায়েল ও হামাসকে অবশ্যই একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে হবে এবং ফিলিস্তিনিদেরও একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ পাওয়ার অধিকার আছে।
তবে চুক্তিটি কীভাবে অর্জিত হবে সে সম্পর্কে তিনি কোনও সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেননি।
হ্যারিস জানান, তিনি ইসরায়েলের ওপর কোনও অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা জারির প্রতিশ্রুতি দেবেন না, যেমনটা তার দলের বাম ঘরানার কেউ কেউ দাবি করেছে।
মন্ত্রিসভায় একজন রিপাবলিকানকে নিয়োগ
অভিবাসন নীতি নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তনের ব্যাখ্যায় হ্যারিস বলেন, ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সারাদেশে ভ্রমণ তাকে জাতীয় ঐকমত্য তৈরিতে বিশ্বাসী করেছে।
এজন্যই তিনি প্রেসিডেন্ট হলে তার মন্ত্রিসভায় একজন রিপাবলিকানকেও রাখার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
হ্যারিস বলেন, এর মধ্য দিয়ে তিনি ‘সমস্ত আমেরিকানদের’ প্রেসিডন্ট হওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা পূরণ হবে।
“আমি আমার কর্মজীবন কাটিয়েছি মতামতের বৈচিত্র্যকে আমন্ত্রণ জানিয়ে। আমি মনে করি যখন এমন কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা নিয়ে ভিন্ন মতামত ও অভিজ্ঞতা রয়েছে, তখন টেবিলে ভিন্ন মতের লোকজন থাকাও জরুরি।
“আমি মনে করি আমার মন্ত্রিসভায় রিপাবলিকান পার্টির একজন সদস্যকে রাখলে তাতে আমেরিকার জনগণেরই উপকার হবে।”
সরকারের মন্ত্রিসভায় বিরোধীদলীয় একজন সদস্য রাখা যুক্তরাষ্ট্রের একটি পুরোনো রাজনৈতিক ঐতিহ্য, যা হ্যারিস পুনরুজ্জীবিত করতে চান। ট্রাম্প ও বাইডেন যা পালন করেননি।
ট্রাম্পের বর্ণবাদী মন্তব্য নিয়ে প্রশ্নে ক্ষোভ
কমলা হ্যারিসের বাবা-মা ছিলেন জ্যামাইকান ও ভারতীয় বংশোদ্ভুত। এজন্য ট্রাম্প কটাক্ষ করে বলেন যে, কমলা হ্যারিস পুরোপুরি কৃষ্ণাঙ্গ নন। তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কৃষ্ণাঙ্গ পরিচয় গ্রহণ করেছেন।
সিএনএন-এর ডানা ব্যাশ বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে কমলা হ্যারিস রেগে গিয়ে বলেন, “একই পুরোনো, ক্লান্তিকর প্লেবুক। দয়া করে পরবর্তী প্রশ্ন কী বলুন।”
পরে সাক্ষাৎকারের শেষ দিকে তার প্রার্থিতার ঐতিহাসিক প্রকৃতি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে কমলা বলেন, তার বিশ্বাস তিনিই এবার সকল আমেরিকানের প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য সেরা ব্যক্তি।
হ্যারিস বলেন, “আমি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়েছি, কারণ আমি বিশ্বাস করি যে, জাতিগত এবং লিঙ্গ পরিচয় নির্বিশেষে সমস্ত আমেরিকানদের জন্য এই মুহূর্তে এই কাজটি করার জন্য আমিই সেরা ব্যক্তি।”
বাইডেনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ
এদিন তিনি প্রথমবারের মতো ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে ধারাশায়ী হওয়ার পর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তাকে ফোন করার বিষয়ে মুখ খোলেন।
হ্যারিস বলেন, গত ২১ জুলাই বাইডেন তার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আগে যখন তাকে ফোন করেছিলেন তখন তিনি বাসায় তার ভাতিজিদের জন্য প্যানকেক বানাচ্ছিলেন।
“জো বাইডেন আমাকে বলছিলেন, তিনি কী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি নিশ্চিত? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
“বিশ্বাস করুন এটা শোনার পর আমার প্রথম চিন্তা নিজেকে নিয়ে ছিল না। আমার প্রথম চিন্তা ছিল তাকে নিয়ে।”
হ্যারিস বলেন, “তিনি খুব স্মার্ট এবং আমি ওভাল অফিসে ও সিচুয়েশন রুমে তার সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়েছি। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে যে বুদ্ধিমত্তা, দৃঢ়তা এবং বিবেচনা-বোধ দরকার, আমি মনে করি বাইডেনের মধ্যে তার সবই রয়েছে।
“কিন্তু ট্রাম্পের মধ্যে সেসব গুণাবলীর কোনোটিই ছিল না।”
অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় প্রতিশ্রুতি
ডেমোক্র্যাটদের জন্য অর্থনীতি একটি রাজনৈতিক দুর্বলতা হিসেবে রয়ে গেছে। জরিপে দেখা গেছে, ভোটাররা অর্থনীতি পরিচালনা এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে ট্রাম্পের ওপর বেশি আস্থা রাখেন। তবে হ্যারিস প্রতিযোগিতায় প্রবেশ করার পর থেকে ট্রাম্পের সমর্থন কমছে।
হ্যারিস এই মাসের শুরুর দিকে করপোরেশনগুলোর ওপর আরও কঠোর হয়ে খাদ্য, আবাসন এবং শিশুর যত্নের খরচ কমানোর জন্য নতুন অর্থনৈতিক নীতির পরিকল্পনা তৈরি করেন। তার প্রস্তাবে মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন নির্মাণের প্রচেষ্টা রয়েছে।
অবশ্য হ্যারিস বাইডেনের মেয়াদকালে যেসব নীতি অনুসরণ করা হয়েছে তা থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসেননি। তবে তিনি চাকরি সৃষ্টি বা উৎপাদন বাড়ানোর পরিবর্তে জনগণের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ানোর ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।
অর্থনৈতিক সমস্যা মোকাবেলায় কেন তিনি ইতোমধ্যে তার ধারণাগুলো বাস্তবায়ন করেননি- এমন প্রশ্নে হ্যারিস বলেন, বাইডেন সরকার ইতোমধ্যে অনেক ভালো কাজ করেছে, কিন্তু আরও কিছু করার আছে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, প্রেসক্রিপশন ওষুধের ব্যয় কমানো এবং পরিবারগুলোর কর কমানোর প্রচেষ্টার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “আমাদের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে হয়েছিল এবং আমরা তা করেছি। তবে আরও কিছু করার আছে।”
তথ্যসূত্র: বিবিসি, সিএনএন, দ্য গার্ডিয়ান