ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবিই হয়েছিল বাংলাদেশের। এই ব্যর্থতার কারণ জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিসিবি। যার নাম দেওয়া হয়েছিল মূল্যায়ন কমিটি। তিন সদস্যের সেই কমিটি এখনও খোলাসা করেনি মূল্যায়ন।
বিশ্বকাপ দলের সঙ্গে থাকা দুজন বোর্ড পরিচালকের বিপক্ষে হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনেছেন ক্রিকেটাররা, এমন খবর ছড়িয়েছে সংবাদ মাধ্যমে। তাদের একজন খালেদ মাহমুদ সুজন বলে গুঞ্জনও আছে।
এমন গুঞ্জনের মাঝে আজ (বুধবার) মিরপুরে সেই মূল্যায়ন জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি করলেন বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন, ‘‘তদন্ত রিপোর্টটা তো বিসিবি প্রকাশ করেনি। কোথা থেকে খবরটা আসে (তার হস্তক্ষেপ করার সন্দেহ)? বিসিবি নিশ্চয়ই দেবে কী কারণ। তারপর বোঝা যাবে কি সত্যি, কি মিথ্যা। আমার মনে হয় যেটাই রিপোর্টে এসেছে, জনসম্মুখে আনা উচিত। সেটা জনসম্মুখে আনলে ভালো। কারণ যদি আমাদের কোনো সমস্যা থাকে, সেটার সমাধান হবে।’’
বিসিবি যদি জনসম্মুখে প্রকাশ না করে তাহলে কি হবে? খালেদ মাহমুদ জানালেন, ‘‘’বোর্ড যদি মনে করে এটা জনসম্মুখে আনা যাবে না, আমরা নিজেরাই সমাধান করব বোর্ড থেকে, সেটাও হতে পারে।’’
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জাকের আলীর ব্যাটিংয়ের প্রশংসাও করলেন সুজন, ‘‘জাকেরের পারফরম্যান্স পুরো দলকে প্রেরণা দেবে। টি-টোয়েন্টিতে এরকমই হয়, ৫-১০ রানের ব্যবধানে ম্যাচের ফলাফল আসে। তাই বাড়তি রানগুলো বড় প্রভাব রাখে। আমরা অতিরিক্ত রান আরও কম দিতে পারি। সেদিন অতিরিক্ত ১৯ রান দিয়েছি।’’
আফিফ হোসেন নেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে দলে। সুজন মনে করেন অন্তত ওয়ানডে দলে থাকা উচিত ছিল আফিফের, ‘‘যেহেতু আমি আফিফকে অনেকদিন ধরে দেখছি, আমি খুবই বিস্মিত যে ও ওয়ানডে দলে নেই। শেষ ওয়ানডেতেও সে রান করেছে, ৩৯ (৩৮)। কেন ও নাই এই কারণটা জানি না। ছেলেটা কঠোর পরিশ্রম করে, নিবেদিত একজন ক্রিকেটার।’’