Beta
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫

যেভাবে কাটবে খালেদা জিয়ার ঈদ

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
[publishpress_authors_box]

দেখা দেবেন দলীয় নেতাদের, দেশে থাকা স্বজনরাও যাবেন দেখা করতে। ফিরোজায় এবার এভাবেই ঈদের দিন কাটাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে কারাগারে যাওয়ার দুই বছরের মাথায় সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে ঢাকার গুলশানের বাসায় রয়েছেন তিনি।

অসুস্থতার কারণে মাঝে-মধ্যেই হাসপাতালে যেতে হয় ৭৯ বছর বয়সী খালেদাকে। সর্বশেষ একদিন হাসপাতালে কাটিয়ে গত ১৪ মার্চ বাসায় ফেরেন তিনি। সেখানেই বৃহস্পতিবার তার ঈদের দিন কাটবে।

বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, ঈদুল ফিতরের দিন রাত ৮টার দিকে তার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটি সদস্যরা।

বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন ঢাকায় আছেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার ও স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, ছেলে অভিক এস্কান্দারসহ কয়েকজন নিকট আত্মীয়। ঈদের দিন দুপুরে তারা রান্না করা খাবার নিয়ে যাবেন খালেদা জিয়ার জন্য। 

এর আগের কয়েকটি ঈদে লন্ডন থেকে ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি এবং তার দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান ঢাকায় এসেছিলেন। খালেদা জিয়া তাদের নিয়ে ঈদ উদযাপন করেন। এবার তাদের কেউ আসেনি। 

তবে লন্ডনে থাকা ছেলে তারেক রহমান, তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান বরাবরই ঈদের দিন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন।  

বড় বোন প্রয়াত খুরশীদ জাহান হকের যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জাপানে প্রবাসী তিন ছেলে এবং আরেক বোনের ছেলে-মেয়েরা ঢাকায় এসে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে চলে গেছেন এই রোজার মধ্যেই। 

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে যান। পরে হাই কোর্ট সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর। অন্যদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আরও সাত বছরের সাজা হয় তার।

বন্দি হওয়ার পর ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোড়ের পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। তবে তখন তার দুটি ঈদ কাটে বন্দি অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে।

কোভিড মহামারি দেখা দিলে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ দণ্ড স্থগিত করে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। এরপর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একটি ঈদ কাটে তার। বাকি সাতটি ঈদে গুলশানের বাসা ফিরোজায় ছিলেন।

দলীয় নেত্রীর অবস্থা নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিনা রহমান সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “তিনি ফিরোজায় আছেন ঠিকই, কিন্তু এটাও তো বন্দি অবস্থাই। বন্দি অবস্থাতেই উনার ঈদ কাটছে বিগত কয়েক বছর ধরে।”

বন্দি হওয়ার আগে প্রতি বছর খালেদা জিয়া রাজনীতিবিদ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, বিদেশি কূটনীতিকসহ সর্বসাধারণের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন। তবে কারাগারে যাওয়ার পর থেকে সেই আয়োজন আর নেই।

কারাগারে যাওয়ার আগে ২০১৭ সালের ২৬ জুন খালেদা জিয়া দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সর্বশেষ ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

খালেদা জিয়া বন্দি হওয়ার পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন ছেলে তারেক রহমান, যিনি বিভিন্ন মামলায় দণ্ড নিয়ে লন্ডনে আছেন সপরিবারে। সেখানে তিনি যুক্তরাজ্যের বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন বলে জানিয়েছে দলীয় নেতারা।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদেরও অনেকেই এবার ঢাকায় ঈদ করবেন। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটি সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান ঢাকায় ঈদের নামাজ পড়বেন। 

স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ঈদের নামাজ পড়বেন নিজ নিজ এলাকায়। ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সালাউদ্দিন আহমেদ বিদেশে রয়েছেন।

ঈদের দিন বেলা সাড়ে ১১টায় দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন মহাসচিবসহ বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। 

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত