হাসপাতালে টানা ১০ দিন চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় প্রবেশ করেন তিনি।
এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খান খোকন ও শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি তাকে স্বাগত জানান।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “পেসমেকার বসানোর পর ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা অনেকটা স্থিতিশীল। সে কারণে নিয়ে আসা হয়েছে। এখন বাসাতেই আগের মতো তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হবে।”
গত ২২ জুন রাত সাড়ে ৩টার দিকে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় খালেদা জিয়াকে ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই ২৩ জুন তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। হাসপাতালটির ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
পেসমেকার বসানোর পর ডা. জাহিদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ছিল। আমি বারবার বলেছিলাম যেকোনো সময় যেকোনো অঘটন ঘটে যেতে পারে। সেই অঘটনটি গত শুক্রবার রাতে ঘটতে যাচ্ছিল। সেই অবস্থায় মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা দ্রুত হসপিটালে নিয়ে আসেন। এরপর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু হয়।”
এর আগে গত বছরের ২৭ অক্টোবর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা তিন চিকিৎসক।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন।
অন্যদিকে গত শনিবার খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করেছে বিএনপি।