Beta
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫

হুমকিতে ভয়ে ছিলেন মাংস ব্যবসায়ী খলিল, গ্রেপ্তার ২

কম দামে মাংস কিনতে প্রতিদিন খলিলের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় জমতে থাকে। ছবিটি জানুয়ারি মাসের
কম দামে মাংস কিনতে প্রতিদিন খলিলের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় জমতে থাকে। ছবিটি জানুয়ারি মাসের
[publishpress_authors_box]

ঢাকার শাহজাহানপুরের মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমানের কাছে চাঁদা দাবি ও পরিবারের সদস্যসহ হত্যার হুমকি দেওয়া দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- মো. নুরুল হক (৬৭) ও মোহাম্মদ ইমন (২২)। রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, শনিবার রাতে আশুলিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ১৮ জানুয়ারি আলোচিত মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমানকে ফোন করে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে কম দামে মাংস বিক্রি না করতে বলেন হুমকিদাতারা। তা না হলে দুই দিনের মধ্যে দুই ছেলেসহ তাকে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।

অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে খলিলকে বিভিন্ন অস্ত্র ও মরদেহের ছবি পাঠিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হয়। এর প্রেক্ষিতে শাহজাহানপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন খলিল। তারপর মাঠে নামে র‌্যাব।

হুমকিদাতারা গ্রেপ্তার হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেন মাংস ব্যবসায়ী খলিল। সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, “সকালে র‍্যাব ডেকেছিল আমাকে। আমার সাথে তারা কথা বলেছে। হুমকিদাতাদের গ্রেপ্তার করায় এখন একটু শান্তি পাচ্ছি।”

দুই ছেলেকে নিয়েই বেশি ভয়ে ছিলেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “তাদের কোনও খারাপ হলে আমি মেনে নিতে পারব না। আমি সাধারণ ব্যবসায়ী, সেভাবেই থাকতে চাই। আমি কারও ক্ষতি করি নাই। নিজের ব্যবসা নিজে করি, এভাবেই থাকতে চাই।”

র‍্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের চারিগ্রাম এলাকায় ডিস ও ইন্টারনেট লাইনের ব্যবসা করেন নুরুল হক। এ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের সঙ্গে তার বিরোধ দীর্ঘদিনের। পরবর্তীতে একজন তাকে খলিলের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার দিয়ে ফোনে হত্যার হুমকি দিতে বলেন। বিনিময়ে ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসার প্রতিবন্ধকতা দূর করা হবে।

নুরুল হক ১৮ জানুয়ারি খলিলকে ফোন করে ২৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং কম দামে মাংস বিক্রি করলে তাকে হত্যার হুমকি দেন। একই কাজে সে ব্যবহার করে ইমনকেও। ভয়ভীতি দেখানো শেষে তারা মোবাইল ও সিম কার্ডটি পানিতে ফেলে দেয়।

গত বছরের নভেম্বরে গরুর মাংসের কেজিপ্রতি দাম ছিল ৮০০ টাকা বা তারও বেশি। এই চড়া দামের মাঝে ১৯ নভেম্বর ঢাকার শাহজাহানপুরের ‘খলিল গোস্ত বিতান’ ৫৯৫ টাকা করে মাংস বিক্রি শুরু করে।

তার এই সিদ্ধান্ত রীতিমতো ঝড় তোলে। কম দামে মাংস কিনতে প্রতিদিন খলিলের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় জমতে থাকে। গণমাধ্যমের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনা ব্যাপক সাড়া ফেলে। খলিলের দেখাদেখি অন্যান্য এলাকার মাংস বিক্রেতাদের মধ্যেও গরুর মাংসের দাম কমানোর প্রবণতা দেখা যায়। একই সঙ্গে সুপারশপগুলোতেও ছাড়কৃত মূল্যে মাংস বিক্রি হতে দেখা যায়।

৭ ডিসেম্বর মাংস ব্যবসায়ী সমিতি গরুর মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেয় প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা। তবে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে ঢালাওভাবে গরুর মাংস ৭০০ টাকায় বিক্রি শুরু হলেও ‘খলিল গোস্ত বিতান’ বিক্রি করেন আগের দামেই। এক সপ্তাহ আগে এই দোকানে গরুর মাংসের কেজি হয়েছে ৬৫০ টাকা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত