Beta
মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫

খালাস পেয়ে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ চাইলেন খন্দকার মোশাররফ 

দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পাওয়ার পর আদালত থেকে বেরিয়ে আসছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পাওয়ার পর আদালত থেকে বেরিয়ে আসছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

দুর্নীতির অভিযোগের এক মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তার ছেলে খন্দকার মাহবুব হোসেন ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক লাইন ডিরেক্টর ডা. মাহবুবুর রহমান।

তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেমের আদালত খালাসের রায় দেয়। এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও খন্দকার মাহবুব হোসেন।

রায় ঘোষণার পর আদালত থেকে বেরিয়ে খন্দকার মোশাররফ সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট মামলা করা হয়েছিল। যে মামলার কোনও ভিত্তি, প্রমাণ ছিল না। ওয়ান ইলেভেনের সময় এ মামলা হয়। সেই হিসেবে প্রায় ১৬ বছর এ মামলা চলেছে। কিন্তু সরকারপক্ষ কোনও প্রাথমিক তথ্য, প্রমাণ দিয়ে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি।”

গত ১৭ বছরের মধ্যে পাঁচ বছরের বেশি সময় বিভিন্ন মামলায় কারাবাস করতে হয়েছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, “যারা এসব মামলা করে আমাদের নির্যাতিত করে রাজনীতি থেকে বিদায় করে দিতে চেয়েছিল; এদেশের মানুষের বিচারে, আল্লাহর হুকুমে তাদের পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করে পালাতে হয়েছে।” 

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকারে নিরপেক্ষ উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, “নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে সংস্কার প্রয়োজন দ্রুত শেষ করে একটি নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়া এই সরকারের দায়িত্ব। আর যত দ্রুত এটা সম্ভব হবে দেশের জন্য, জনগণের জন্য মঙ্গল এবং এই সরকারের জন্যও মঙ্গল।”

খন্দকার মোশাররফসহ তিনজনের বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছিল তার নথিতে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ও বিশ্ব ব্যাংকের প্রকল্পভুক্ত বিদেশে গমনেচ্ছু কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিমানের টিকিট সরবরাহের বিষয়ে প্রতারণা, জালিয়াতি ও অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সাজানো টেন্ডারের মাধ্যমে সরকারের ৪৮ লাখ ৫১ হাজার ৮০ টাকা ক্ষতি করে নিজেরা লাভবান হন।

এসব অভিযোগে ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক লুৎফর রহমান মামলাটি করেছিলেন। 

২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। পরের বছর ৩০ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।

বিচার চলাকালে ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত