খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণ ও অপহরণের মামলায় ভুক্তভোগীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছে আদালত।
শুক্রবার বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ২২ ধারায় এই জবানবন্দি রেকর্ড করেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২ এর বিচারক রনক জাহান। পরে ভুক্তভোগীকে তার মায়ের জিম্মায় দিয়ে দেয় আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুক্ত রায় চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে ভুক্তভোগী ওই তরুণী আদালতে কী বলেছেন- সে বিষয়ে কোনও তথ্য দেননি তিনি। ভুক্তভোগী নিজেও গণমাধ্যমে কিছু বলতে রাজি হননি। জবানবন্দির সময় ওই তরুণীর মা, মামা, মামী ও মামাতো ভাইরা উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে ওই তরুণীকে ডুমুরিয়া থেকে আদালতে আনে পুলিশ। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে রাত ৮টার দিকে তাকে পুলিশের গাড়িতে করেই ডুমুরিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ৬ জানুয়ারি খুলনার নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনালে-১ নম্বর আদালতে ডুমুরিয়া উপজেলার চেযারম্যান এজাজ আহমেদসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন ভুক্তভোগীর খালাতো ভাই।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, রুদাঘরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদ, গাজী আব্দুল হক, আল আমীন গাজী, আক্তারুল আলম সুমন, সাদ্দাম গাজী, মো. ইমরান হোসেন।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ তার বোনকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন।
গত ২৭ জানুয়ারি ওই তরুণীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। পরদিন তাকে ও তার মাকে সেখান থেকেই জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় কিছু লোক।
ওই রাতেই ভুক্তভোগী নারীকে যশোরের কেশবপুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে সে সময় পুলিশের কাছে অপহরণসহ ধর্ষণের বিষয়টি এড়িয়ে যান ভুক্তভোগী নারী। এরপর তাকে তার পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পরিবার জানায়, তার অবস্থান কেউ জানে না।
স্বজনরা জানিয়েছেন, ১০-১৫ দিন আগে ওই তরুণী বাড়িতে আসেন। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। এরপর শুক্রবার নেয় আদালতে।