ম্যাচ শেষে নিশ্চয় আফসোসে পুড়ছেন তাওহিদ হৃদয়। জয়ের লক্ষ্যমাত্রা আর কিছু বেশি হলেই হয়তো এবারের বিপিএলে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে যেতেন! এক ম্যাচ আগেই দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে খেলেন ১০৮ রানের অসাধারণ ইনিংস। বুধবার চট্টগ্রামে খুব কাছে গিয়েও সেঞ্চুরি হলো না হৃদয়ের।
তাতে অবশ্য কোনও আক্ষেপ নেই। হৃদয়ের দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস যে ততক্ষণে জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে। এই ম্যাচে তিনি শেষ পর্যন্ত ৯১ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন। তার দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জিতেছে কুমিল্লা। এটা কুমিল্লার টানা পঞ্চম জয়।
লিটন দাস ও হৃদয় আছেন। এসএ২০ শেষে এ দুজনের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন উইল জ্যাকস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অস্ট্রেলিয়া সফর শেষে এসেছেন জনসন চার্লস। আছেন মঈন আলী। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ব্যাটিং স্বর্গে এমন ব্যাটিং লাইনআপকে আটকে রাখার মতো রান করতেই পারেনি খুলনা।
আগে ব্যাট করে ২০ ওভার শেষে খুলনা তোলে ৮ উইকেটে ১৬৪। রান তাড়ায় কুমিল্লার টপ অর্ডারের বাকিরা ব্যর্থ হলেও হৃদয় ছিলেন শেষ পর্যন্ত। ৪৭ বলে অপরাজিত ৯১ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। ৪০ রান করে তাঁকে সঙ্গত দিয়েছেন জাকের আলী। দুজনের জুটিতে ১৬.৩ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখেই খুলনার রান টপকে যায় কুমিল্লা।
হৃদয়ের ১৯৩ স্ট্রাইক রেটের অপরাজিত ইনিংসে ছিল ৭টি করে চার ও ছক্কা। জাকের ৪০ রান করেছেন ৩১ বলে।
কুমিল্লার স্থানীয় ব্যাটসম্যানরা যা করছেন, খুলনার কেউ তেমন কিছু করতে পারেননি। এনামুল হক-আফিফ হোসেনরা বিপিএলের শুরুটা ভালো করলেও মাঝপথে এসে খেই হারিয়েছেন। খুলনার বিদেশি ক্রিকেটারদের বহর এখনো এসে পৌঁছায়নি। ব্যাটিং অর্ডারে যে দুজন আছেন, সেই অ্যালেক্স হেলস ও এভিন লুইস মূলত ওপেনার। কিন্তু খুলনা এই ম্যাচে দুজনকে খেলিয়েছে দুই ভূমিকায়। পিএসএল খেলতে বৃহস্পতিবার সকালে বিমান ধরার আগে হেলস (২২) এসেছিলেন ইনিংস উদ্বোধনে। কিন্তু মাঝের ওভার থেকে শুরু করে ডেথ ওভারে পেসারদের বিপক্ষে মারকুটে ব্যাটিংয়ের জন্য চারে নামানো হয় লুইসকে। তিনি আাউট হন ৩৬ রান করে। তাঁদের আগে-পরে খেলেন এনামুল (১৮) ও আফিফ (২৯)।
এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা মোটেও কাজে লাগেনি। টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যানের কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ২০-৩০-এর ঘরে এসে আউট হয়েছেন দুজনই। সে ধারা বজায় রেখেছেন পাঁচ ও ছয়ে নামা মাহমুদুল হাসান (২৮) ও ওয়েইন পারনেলও (২০)। ব্যাটসম্যানদের মাঝারি মানের ব্যাটিংয়ে খুলনার রানও হয়েছে মাঝারি আকারের। মঙ্গলবার জাতীয় দলে ডাক পাওয়া কুমিল্লার স্পিনার আলিস আল ইসলাম ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন মঈন আলী ও ম্যাথু ফোর্ড।