জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টির (এনসিএল) ফাইনালে পা রাখল রংপুর বিভাগ। প্রথম কোয়ালিফায়ারে ঢাকা মেট্রোকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তারা। টুর্নামেন্টে টানা সাত ম্যাচ জিতেছিল ঢাকা মেট্রো। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকে প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলেছে তারা। অথচ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই প্রথম হার হজম করে দলটি।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে লো স্কোরিং ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা মেট্রো নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১০৭ রান করে। জবাবে রংপুর ১৯.২ ওভারে ৬ উইকেটে ১০৮ রান করে জয় নিশ্চিত করেছে।
টুর্নামেন্ট জুড়ে দলগত ব্যাটিং পারফরম করা ঢাকা মেট্রো এদিন হতাশ করেছে। ইমরানুজ্জামানের ৪২ বলে ৩০ রান ছাড়া ভালো স্কোর নেই কারও। নিচের দিকে আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ২৪ বলে ২৩ রান করলে কোন রকমে একশ পার করে ঢাকা মেট্রো।
রান তাড়া করা খুব সহজ ছিল না রংপুর ব্যাটারদের জন্যও লোয়ার অর্ডারে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার তানবীর হায়দার ২২ ও আরিফুল হক ২২ রান করে দলের জয় সহজ করেন। দুই ওপেনার চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আবদুল্লাহ আল মামুন করেছেন ১৭ রান করে।
রবিবার সোয়া ১টায় ঢাকা মেট্রো দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে এলিমিনেটর জিতে আসা খুলনার।
চট্টগ্রামকে বিদায় করে কোয়ালিফায়ারে খুলনা
শেষ দুই ওভারে চট্টগ্রাম বিভাগের দরকার ছির ২৪ রান। অথচ ১৯তম ওভারটিতে খুলনা বিভাগের পেসার মেহেদি হাসান রানা দিয়েছেন মাত্র ১ রান। শেষ ওভারে তাই ১৬ রান নিয়েও কাজের কাজ কিছু হয়নি চট্টগ্রামে। ৭ রানে হেরে জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টি থেকে বিদায় নিয়েছেন তামিম ইকবালরা।
দিনের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে ১৯.৩ ওভারে ১৪৬ রানে অলআউট হয় খুলনা। নুরুল হাসান সোহান ৩৯ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৫২ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া তরুণ আজিজুল হাকিম তামিমের ১৬ বলে ২০ ও নিচের দিকে নাহিদুলের ১৯ বলে ১৮ রানে লড়াকু পুঁজি পেয়ে যায় খুলনা।
শেষ কিছু ম্যাচে বাজে পারফরম করা চট্টগ্রাম টপঅর্ডাররা এই ম্যাচেও ফ্লপ ছিলেন। শুরুর পাঁচ ব্যাটারের মধ্যে শুধু শাহাদাত হোসেন দিপু ১৪ বলে ২৩ রান করেন। বাকিদের বলার মতো স্কোর ছিল না। নিচের দিকে অধিনায়ক ইয়াসির আলি রাব্বি ২৭ বলে ৩৭ ও নাঈম হাসান শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ২৭ বলে ৩৪ রান করেও দলকে জেতাতে পারেননি।