খুলনার রূপসায় আগুন লেগে পুড়ে গেছে সালাম জুট মিল। জুট মিলে থাকা মালামাল ও মেশিনারিজ পুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে মিল কর্তৃপক্ষ।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, মিলটিতে কোনও ফায়ার সেইফটি প্ল্যান ছিল না। ফায়ার পাম্প ও হোজ পাইপ এবং আন্ডারগ্রাউন্ড পানির রিজার্ভার থাকার কথা থাকলেও সেগুলো নেই। এ কারণেই ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে।
তবে ফায়ার সার্ভিসের অভিযোগ অস্বীকার করেছে জুট মিল কর্তৃপক্ষ।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে খুলনার সালাম জুট মিলে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ও নৌবাহিনীর তিনটিসহ মোট ১৪টি ইউনিটের সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিস খুলনার উপ সহকারী পরিচালক মো. সাইফুজ্জামান বলেন, “ফায়ার সেইফটি লুকিয়ে রাখার জিনিস না। এটি দৃশ্যমান থাকবে। এই মিলে একটি ৫০ হাজার গ্যালন পানির আন্ডারগ্রাউন্ড রিজার্ভার থাকার কথা। কিন্তু পাঁচতলার উপর একটি ট্যাংকি ছাড়া কিছু নাই।”
তিনি বলেন, “কিছু ফায়ার এক্সটিংগুইশার ছাড়া আমরা কিছু দেখছি না। ফায়ার পাম্প ও হোজ পাইপ থাকার কথা ছিল। তারা হয়তোবা শর্ত সাপেক্ষে ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স পেয়েছেন। কিন্তু ফায়ার সেইফটি বাস্তবায়ন করেননি।”
তবে জুট মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বশির আহমেদের দাবি, মিলটির অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট ভালো। ফায়ার সার্ভিস নিজেদের ‘গাফিলতি ঢাকতে’ সেইফটি প্ল্যান না থাকার কথা বলেছে।
তিনি বলেন, “আমাদের পর্যাপ্ত ফায়ার সেফটি আছে। সেগুলো দেখেই তারা আমাদের লাইসেন্স দিয়েছে। আমরা প্রতিবছর লাইসেন্স রিনিউ করি। তারা এখন নিজেদের গাফিলতি ঢাকতে এ কথা বলছেন।”
জুল মিল কর্তৃপক্ষের দাবি, আগুনে মিলের ১১ কোটি মূল্যের পাটের সূতা, ১৫ কোটি টাকা মূল্যের ৪০ হাজার মণ কাঁচা পাট ও ৬০ কোটি টাকা মূল্যের মেশিনারিজসহ শত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।