খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের নাম ‘বিজয় তোরণ’ পাল্টে ‘শহীদ মীর মুগ্ধ তোরণ’ করেছে শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান কিছু শিক্ষার্থী ফটকের নতুন এই নামকরণ করে। শনিবার বিকালে তারা ‘শহীদ মীর মুগ্ধ তোরণ’ লেখা একটি পোস্টার প্রধান ফটকে সাঁটিয়ে দেয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। ফ্রিল্যান্সার হিসেবেও কাজ করতেন তিনি।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই ঢাকার উত্তরা আজমপুর এলাকায় ক্লান্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে পানি এবং বিস্কুট বিতরণ করছিলেন মুগ্ধ। তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছোড়া গুলি লাগে তার কপালে। বন্ধুরা দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়, কিন্তু তার আগেই প্রাণ হারান মুগ্ধ।
মুগ্ধের মৃত্যুর পর তার ‘পানি লাগবে, পানি’ বলার ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন তোলে। শেখ হাসিনাকে হটানোর এই আন্দোলনের প্রেরণা হিসাবে মুগ্ধকে দেখছিল শিক্ষার্থীরা।
মুগ্ধের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের এই নাম দেন শিক্ষার্থীরা।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২৩ সালে গণিতে স্নাতক ডিগ্রি নেন মুগ্ধ। এরপর তিনি ঢাকায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) প্রফেশনাল এমবিএ করেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ‘বিজয় তোরণ’ ও গেট হাউজ উদ্বোধন করা হয় গত ৩০ জুন। সেখানে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের কথা তুলে ধরা হয়। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ, উচ্চশিক্ষা এবং শিক্ষার্থীদের কোন বিষয়গুলো দেখা উচিৎ, সেই বর্ণনাও ছিল।