ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুরা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়েছে। এখন পর্যন্ত মুক্তিপণ চেয়ে কোনও বার্তা আসেনি জলদস্যুদের পক্ষ থেকে।
ফলে ২৩ বাংলাদেশি নাবিকের ভাগ্যে কী ঘটছে, কী হতে চলেছে; তা এখনো অনিশ্চিত। আর এসব নিয়ে উৎকণ্ঠায় প্রতিটি মুহূর্ত পার করছেন নাবিকদের পরিবারের সদস্যরা।
সবশেষ মঙ্গলবার এমভি আবদুল্লাহর প্রধান কর্মকর্তা মো. আতিকউল্লাহ খানের কাছ থেকে টেলিফোন বার্তা পেয়েছিলেন তার স্ত্রী।
মাগরিবের নামাজের কিছু সময় আগে পাঠানো সেই অডিও বার্তায় আতিকউল্লাহ খান বলেন, “আমাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে। ফাইনাল কথা হচ্ছে, এখানে যদি টাকা না দেয়, আমাদের একজন একজন করে মেরে ফেলতে বলেছে। তাদের (দস্যুদের) যত তাড়াতাড়ি টাকা দেবে, তত তাড়াতাড়ি ছাড়বে বলেছে। এই বার্তাটা সবদিকে পৌঁছে দিও।”
পেশা জীবনের ১৪ বছর জাহাজে চাকরি করেন আতিকউল্লাহ। এবারই প্রথম এমন সংকটের মুখে পড়েছেন বলে জানালেন তার মা শাহানুর আকতার।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার ছেলেকে ফিরিয়ে আনার আকুতি জানাচ্ছি। তিনিও একজন মা। আমার তিনটা ছোট ছোট নাতনি। এমন বিপদের খবর শোনার পর ছেলের বউ অসুস্থ; এখন সে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। কঠিন এই অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় পদক্ষেপ চাইছি।”