কক্সবাজারের উখিয়ায় একটি রোহিঙ্গা শিবির থেকে এক তরুণের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আরেক শিবিরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে এক এনজিওকর্মীসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার উখিয়ার কুতুপালং-২ ইস্ট নম্বর ও ১৫ নম্বর ক্যাম্পে এসব ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানার ওসি মো. আরিফ হোছাইন।
তিনি জানান, কুতুপালং-২ ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিত্যক্ত একটি ঘর মোহাম্মদ এমরান (১৮) নামের এক তরুণের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি-৮১ ব্লকের মোহাম্মদ ইদ্রিসের ছেলে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, কেউ তার গলা টিপে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে ১৫ নম্বর ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠন আরসা ও আরএসও’র সদস্যদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে জানান ওসি। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালি এলাকার বাসিন্দা বেলাল উদ্দিন (৩৫)। তিনি ওই ক্যাম্পে আমান নামে একটি বেসরকারি সংস্থার লার্নিং সেন্টারে কর্মরত ছিলেন।
এসময় আরও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক ডি-৭ এর হোসেনের ছেলে ওমর ফারুক (৩০), ব্লক-৩ এর আবদুর রশিদের ছেলে মো. ইউনুস (২৫), ১১ নম্বর ক্যাম্পের ব্লক-২ এর মো. আলমের ছেলে আবদুল্লাহ (১৮), ১৪ নম্বর ক্যাম্পের আবদুল গনির মেয়ে হামিদা (৫০)।
ওসি মো. আরিফ হোছাইন বলেন, সকাল ৯ টা ও দুপুর ১২ টায় দুই দফায় ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসা ও আরএসওর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গোলাগুলি হয়। এসময় পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের উদ্ধার করে এমএসএফ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।