ব্রিটিশ রাজপরিবারের দুজন সদস্য শারীরিক জটিলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, যদিও কার অবস্থা সংকটাপন্ন নয়।
বিবিসি জানিয়েছে, রাজা তৃতীয় চার্লসের পুত্রবধূ প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেট মিডলটনের সম্প্রতি অস্ত্রোপচার হয়েছে। তিনি এখন হাসপাতালে সুস্থ হয়ে উঠছেন।
আর রাজা চার্লসের মূত্রথলিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আগামী সপ্তাহে তার এ সংক্রান্ত চিকিৎসা শুরু হবে। তবে শারীরিক অবস্থা গুরুতর নয়।
এ বছরের নভেম্বরে ৭৫ বছরে পা দেবেন চার্লস। মূত্রথলিতে তার যে সমস্যা হয়েছে, সেটি এই বয়সে স্বাভাবিক। তার এই সমস্যা ক্যান্সারে রূপ নেয়নি।
৪২ বছর বয়সী কেটের পেটে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এ কারণে অস্ত্রোপচারের দরকার পড়ে। তবে ঠিক কী সমস্যা হয়েছিল, তা জানা যায়নি। ক্যান্সার বাসা বাঁধেনি, এটা নিশ্চিত।
অস্ত্রোপচারের পর কয়েক মাসের জন্য রাজকীয় দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকবেন চার্লসের বড় ছেলে প্রিন্স উইলিয়ামের স্ত্রী কেট।
বিবিসি জানায়, বুধবার দুপুর ২টার দিকে চার্লস ও কেটের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত খবর দুই ঘণ্টার ব্যবধানে জানায় ব্রিটিশ রাজপরিবার।
প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেট লন্ডনের কেনসিংটন প্রাসাদে থাকেন। সেখান থেকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার মধ্য লন্ডনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কেটকে ভর্তি করা হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, রাজা চার্লসের পুত্রবধূকে দুই সপ্তাহ ওই হাসপাতালে থাকতে হবে। পুরোপুরি সুস্থ হতে তার মাসখানেক সময় লাগবে। ইস্টার সানডের (৩১ মার্চ) পরও কেটের জনসম্মুখে না আসার সম্ভাবনাই বেশি।
কেটের চিকিৎসাবিষয়ক গোপনীয়তাকে যেন সম্মান জানানো হয়, কেনসিংটন প্রাসাদ সে আহ্বান রেখেছে। বলা হয়েছে, কেট তার সন্তানদের কাছে পরিস্থিতি যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখতে চাইছেন। তিনি আশা করেন, জনসাধারণ তার এই চাওয়া বুঝতে পারবেন।
কেবল কেট নয়, তার স্বামী উইলিয়ামও আগামী কয়েক সপ্তাহ রাজকীয় দায়িত্ব থেকে দূরে থাকবেন। এ সময় তিনি কেটের পাশে থাকবেন। সময় দেবেন ১০ বছরের প্রিন্স জর্জ, ৮ বছরের প্রিন্সেস চার্লট ও ৫ বছরের প্রিন্স লুইসকে।
সাধারণত ব্রিটিশ রাজপরিবার তাদের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের শারীরিক অসুস্থতার বিস্তারিত গোপন রাখে। সীমিত পরিস্থিতিতে কেবল অসুস্থতার খবর জনসম্মুখে ঘোষণা করা হয়।
এ কারণে একদিনেই রাজা চার্লস ও প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেটের অসুস্থতার খবর রাজপরিবারের তরফ থেকে প্রকাশ্যে আনা লক্ষ্যণীয় ঘটনা।