Beta
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫

মিয়ানমারের কায়িনে শহর দখলের দাবি বিদ্রোহীদের

কেএনএলএ যোদ্ধারা।
কেএনএলএ যোদ্ধারা।
[publishpress_authors_box]

মিয়ানমারের কায়িন রাজ্যের একটি শহর নিজেদের দখলে নেওয়ার দাবি করেছে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ)।

কেএনএলএ ও তাদের সহযোগীদের দাবি, বুধবার তারা কায়িন (কারেন) রাজ্যের পাপুন শহরটির বেশিরভাগ অংশ দখল করে নিয়েছে।

কেএনএলএ কারেনদের রাজনৈতিক সংগঠন কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের (কেএনইউ) সশস্ত্র শাখা।

কেএনইউ মুখপাত্র সাও কালেল বলেছেন, কেএনএলএ ও এর সহযোগীরা শহরটি দখল করার পর বৃহস্পতিবার পাপুনের বাইরে জান্তার একটি পাহাড় চূড়ার ফাঁড়ি ও পদাতিক ব্যাটালিয়ন ১৯ এর উপরও আক্রমণ করেছে।

তিনি দ্য ইরাবতীকে বলেন, “আমাদের যোদ্ধারা শহরটি দখল করেছে তবে আমি বিস্তারিত জানি না। লড়াই এখনও চলছে। জান্তা বাহিনী আকাশ থেকে বোমা বর্ষণ করছে, যা তারা সাধারণত পরাজয়ের পর করে।”

পাপুন কায়িন প্রদেশের উত্তরাঞ্চলীয় একটি শহর। এর সঙ্গে বাগো অঞ্চল, কারেনি (কায়া) রাজ্য ও থাইল্যান্ডের সীমান্ত রয়েছে।

কেএনএলও ও তাদের সহযোগীরা গত ২০ মার্চ থেকে পাপুনের চারপাশে জান্তা সেনাদের ঘেরাও করা শুরু করে।

শান রাজ্যে যুদ্ধবিরতির মধ্যেই সংঘর্ষ

চীনের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতির মধ্যেই মিয়ানমারের শান রাজ্যে সংঘর্ষে জড়িয়েছে দেশটির জান্তা সরকার ও বিদ্রোহীরা।

উত্তর শান রাজ্যের লাশিওর কাছে মঙ্গলবার জান্তা বাহিনী ও মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মির (এমএনডিএএ) মধ্যে নতুন করে লড়াই শুরু হয়েছে। সেখানে জান্তার সেনাবাহিনীর উত্তর-পূর্ব কমান্ড অবস্থিত।

এমএনডিএএ যোদ্ধারা।

জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি চীনের মধ্যস্থতায় জান্তা সরকারের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সাক্ষর করে জাতিগত ব্রিদ্রোহীদের জোট থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। এটি এমএনডিএএ, তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি ও আরাকান আর্মির একটি সামরিক জোট। চীনের মধ্যস্থতায় আলোচনার পর তারা উত্তর শানে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়।

দ্য ইরাবতীর খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকালে লাশিও থেকে ১৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বের একটি গ্রামীণ এলাকায় জান্তা বাহিনী ও এমএনডিএএ প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

গ্রামবাসীরা জানায়, লাশিও শহরের উপকণ্ঠে কোন নায়াং গ্রামে মোতায়েন জান্তার পদাতিক ব্যাটালিয়ন ৫৫ এর সেনারা এমএনডিএএ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে প্রবেশ করতে গেলে এই সংঘর্ষ হয়। তবে এরপর আর কোনও সংঘর্ষ হয়নি।

মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর উত্তর-পূর্ব কমান্ডের সদর দপ্তর লাশিও শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। সেখানে একটি আর্টিলারি ইউনিট সহ অন্তত পাঁচটি জান্তা ব্যাটালিয়ন রয়েছে। জান্তা-মিত্র মিলিশিয়ারাও শহরটি পাহারা দিচ্ছে।

অনলাইনে প্রচারিত কিছু প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, উত্তর শান রাজ্যে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের দখল করা শহরগুলো পুনরুদ্ধারের জন্য জান্তা সরকার সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা করছে।

লাউক্কাই ও কুটকাইতে যুদ্ধের সময় ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের কাছে আত্মসমর্পণ করা জান্তা কর্মকর্তা ও সেনা সদস্যরাও একটি প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারা লাশিওর যুদ্ধক্ষেত্রের সামনের সারিতে রয়েছেন।

তবে সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনকারী যেকোনও পক্ষই চীনের চাপের মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত