Beta
রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫

বাটলার বীরত্বে রেকর্ড রান তাড়ায় জিতল রাজস্থান

৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩
[publishpress_authors_box]

৫০৪তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সুনীল নারাইন করলেন প্রথম সেঞ্চুরি। জাদু দেখিয়েছেন বল হাতেও। নিয়েছেন ২ উইকেট, ক্যাচও ধরেছেন একটি। তাকে সেঞ্চুরি করতে দেখে গ্যালারিতে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিলেন কলকাতার মালিক শাহরুখ খান। বলিউডের বাদশাখ্যাত শাহরুখ কুর্নিশও করেন নারাইনকে।

 রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে কলকাতার ম্যাচটা তাই হতে পারত সুনীল নারাইনময়। তবে দিন শেষে সবটুকু আলো কেড়ে নিলেন জস বাটলার। তার ৬০ বলে বিধ্বংসী ১০৭ রানের ইনিংসে শেষ বলে রুদ্ধশ্বাস ২ উইকেটের জয় পায় রাজস্থান।

নারাইনের সেঞ্চুরিতে কলকাতা করেছিল ৬ উইকেটে ২২৩ রান। জবাবে জস বাটলার ঝড়ে স্মরণীয় এক জয় পেল রাজস্থান। আইপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার যৌথ সেরা রেকর্ড এটা। আগের রেকর্ডটাও রাজস্থানের। ২০২০ আসরে শারজায় তখনকার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে ২২৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করে রাজস্থান জিতেছিল ৪ উইকেটে।

বাটলারকে তাই কুর্নিশ করেছে পুরো গ্যালারি। এমনকি ম্যাচ শেষে কলকাতার খেলোয়াড়রাও অভিনন্দন জানান রাজস্থানের হয়ে ৭ম আইপিএল সেঞ্চুরি করা বাটলারকে। আইপিএলে সপ্তম সেঞ্চুরি করে বাটলার ছাড়িয়ে গেলেন ক্রিস গেইলকে। এই ক্যারিবিয়ানের আইপিএলে সেঞ্চুরি ৬টি। সবচেয়ে বেশি ৮ সেঞ্চুরির রেকর্ড বিরাট কোহলির।

১৩তম ওভারে ৬ উইকেটে ১২১ রান করা রাজস্থানের হাত থেকে প্রায় বেড়িয়েই গিয়েছিল ম্যাচ। শেষ ৬ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৯৬ রান।

২২৩ তাড়ায় শেষ ৬ ওভারে দরকার ছিল ৯৬

রাজস্থান রান নিয়েছে এভাবে

১৫ ওভার : ১৭ রান

১৬ ওভার : ১৭ রান

১৭ ওভার : ১৬ রান

১৮ ওভার : ১৮ রান

১৯ ওভার : ১৯ রান

২০ ওভার : ৯ রান

একটা প্রান্ত আগলে ধরে কঠিন হয়ে যাওয়া সেই ম্যাচটাই জেতালেন বাটলার। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫৫ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন বাটলার।

সতীর্থরা একে একে আউট হলেও একটা প্রান্তে আগ্রাসন চালিয়ে গেছেন তিনি। শেষ ওভারে লাগত ৯ রান। বরুণের প্রথম বলে ছক্কা মেরে চাপ কমিয়ে দেন বাটলার। মাঝে টানা তিন বল রান দেননি বরুণ। পঞ্চম বলে ২ আর শেষ বলে ১ নিয়ে শূন্যে লাফিয়ে উঠেছিলেন বাটলার। জয়টা যে আকাশ ছোঁয়ার মতই।

সুনীল নারাইন পরিচিত ছিলেন রহস্যময় স্পিনার হিসেবে। গৌতম গম্ভীর কলকাতার মেন্টর হয়ে আসার পর প্রথম যে কাজটা করেছিলেন, তা হল নারাইনকে ওপেন করতে আনা। তিনি অধিনায়ক থাকার সময়েই প্রথম ওপেন করতে শুরু করেছিলেন নারাইন।

এরপর বিশ্বের বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি লিগেও ওপেন করতে শুরু করেন নারাইন। মাঝে মাঝে ঝড় তুললেও কলকাতা নিয়মিত ওপেনার হিসেবে গত কয়েক বছর খেলায়নি তাকে। এবার কোচ হিসেবে গম্ভীর ফেরার পর আবারও ওপেনিংয়ের জায়গাটা ফিরে পান নারাইন।

তারই প্রতিদান দিলেন ৫৬ বলে ১৩ বাউন্ডারি ৬ ছক্কায় ১০৯ রানের ইনিংসে। এছাড়া রাঘুবংশী ১৮ বলে ৩০ ও রিংকু সিং করেন ৯ বলে ২০ রান।

তবে দিনটা ছিল বাটলারের। তার অসাধারণ দৃঢ়তায় আইপিএল ইতিহাসের অন্যতম সেরা একটা জয় পেয়েছে রাজস্থান।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত