ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা মহানগরীর প্রতিটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে অন্যান্য ভাষার পাশাপাশি বাংলায় সাইনবোর্ড লাগানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
কলকাতা পৌর করপোরেশন (কেএমসি) রবিবার এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে বলে জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
পৌর করপোরেশনের সচিব স্বপনকুণ্ড বলেন, “কর্তৃপক্ষ বাংলার ব্যবহার কার্যকর করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। প্রক্রিয়াটি শুরু করার জন্য ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত একটি অস্থায়ী সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
“করপোরেশন দোকান, রেস্তোরাঁ এবং অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে যাতে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম এবং অন্যান্য তথ্য বাংলায়ও লেখা হয়।”
অক্টোবরে টিএমসি কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে কেএমসি অধিবেশনে বলেছিলেন, “সরকারি ও বেসরকারি অফিসের সমস্ত সাইনবোর্ডে অন্যান্য ভাষার পাশাপাশি বাংলায়ও লেখা থাকা উচিৎ। পৌর করপোরেশনের সমস্ত বিজ্ঞপ্তি, চিঠি এবং নথিও বাংলায় প্রকাশ করা উচিৎ।”
গত ৩ অক্টোবর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার অসমীয়া, মারাঠি, পালি ও প্রাকৃতসহ বাংলাকেও একটি ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই বিশ্বরুপ দে এই প্রস্তাব করেন।
কেএমসি মেয়র ফিরহাদ হাকিমও এর আগে বলেছিলেন, তিনি বেসরকারি বিজ্ঞাপন সংস্থা এবং দোকানগুলোকে তাদের সাইনবোর্ডে বাংলা ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করবেন।
ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, “ব্যানার, ফেস্টুন, সাইনবোর্ড এবং এই জাতীয় যোগাযোগের পদ্ধতিতে হিন্দি, ইংরেজি বা অন্যান্য ভাষা ব্যবহারের বিরুদ্ধে আমার কিছু বলার নেই। তবে অন্যান্য ভাষার সঙ্গে বাংলাও থাকা উচিৎ।”
২০০৭ সালেও কেএমসির অনুরূপ পদক্ষেপে তৎকালীন মেয়র বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য দোকান মালিকদের সাইনবোর্ডগুলোতে অন্যান্য ভাষার সঙ্গে বাংলার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে নোটিশ জারি করেছিলেন। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি।