দেশে কোরবানির চাহিদা পূরণে পর্যাপ্ত পশু রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, কোরবানির পশুর কোনও ঘাটতি নেই। এবার দেশি পশু দিয়েই কোরবানি হবে।
রবিবার দুপুরে সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএলআরআই) আয়োজিত বার্ষিক গবেষণা পরিকল্পনা কর্মশালায় তিনি একথা বলেন।
আব্দুর রহমান বলেন, “দেশ গবাদি পশু উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তাই বাইরে থেকে পশু আমদানির কোনও প্রয়োজন নেই।”
ঈদুল আজহায় দেশে ১ কোটি ৭ লাখ কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে, বিপরীতে ১ কোটি ৩০ লাখ পশুর প্রস্তুতি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যা চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি।
চোরাই পথে কিছু গবাদিপশু দেশে ঢুকছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “সীমান্তরক্ষী বাহিনী তা বন্ধের চেষ্টা করছে। রাষ্ট্র কোরবানির জন্য কাউকে পশু আমদানি করার বৈধতা দেয়নি। চোরাচালানের মাধ্যমে যারা দেশে পশু আনছে তারা অবৈধ বলে বিবেচিত হবে।”
কর্মশালায় বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, তারা দেশের সম্পদ, তাদের গবেষণার কারণে দেশের প্রান্তিক খামারি ও কৃষি খাতের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
পশুবাহী যানে চাঁদাবাজি করলে কঠোর ব্যবস্থা
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটসহ সারা দেশে চলাচলকারী পশুবাহী যান থেকে চাঁদা নিলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।
রবিবার সকালে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরিঘাট পরিদর্শন করে মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “ঘাটে পশুবাহী গাড়িতে নজরদারীর জন্য লাইভস্টক বিভাগের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম থাকবে। এ ছাড়া বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার সুবিধার জন্য জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনও তদারকি করবে।”