দক্ষিণ কোরিয়ায় মধ্যরাতে সামরিক আইন জারির কিছুক্ষণ পরই তা আবার উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে এরই মধ্যে ব্যতিক্রম একটি কাজ করে আলোচনায় এসেছেন কে-পপ গ্রুপ ‘মন্সটা এক্স’- এর সদস্য আইএম।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল সামরিক আইন জারির সময় রেডিওতে একটি লাইভ শো করছিলেন আইএম। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি খবরটি শ্রোতাদেরকে জানিয়ে দেন। তারপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোরগোল পড়ে যায়। জনগণ সামরিক আইনের প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নামে।
শো-টি প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে মাঝরাত পর্যন্ত সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। রেডিও শো’র মাঝখানে আইএম এমন রাজনৈতিক একটি তথ্য দেবেন তা কেউই আশা করেনি।
হালকা মেজাজের এই রেডিও শো-তে মূলত কে-পপ গান পরিবেশন করা হয়। এমন একটি শো’র মাঝখানে হঠাৎ গম্ভীর গলায় আইএম বলে ওঠেন, “ব্রেকিং নিউজ: প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এই সন্ধ্যায় সামরিক আইন ঘোষণা করেছে।” আর এতেই শ্রোতারা হতভম্ব হয়ে যায়।
আইএম এর পুরো নাম আইএম চ্যান কিয়ান। তবে তিনি আইএম নামেই পরিচিত।
সামরিক আইন জারির কিছুক্ষণের মধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট এর বিরুদ্ধে ভোট দেয়ায় সামরিক আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে বাধ্য হন দেশটির প্রেসিডেন্ট। তার এ ঘোষণার পর সামরিক আইন জারির প্রতিবাদ করতে যারা রাস্তায় নেমে এসেছিলেন তারা উৎসবে মেতে উঠেছেন।
গত ৫০ বছরের মধ্যে এই প্রথম মার্শাল ল বা সামরিক আইন জারি করা হলো দক্ষিণ কোরিয়ায়।
মঙ্গলবার রাতে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এক টেলিভিশন ঘোষণায় ‘রাষ্ট্র বিরোধী শক্তি’ এবং উত্তর কোরিয়ার হুমকির কথা উল্লেখ করে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দিয়েছিলেন।