Beta
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫

পাহাড়ে আমরা কঠোর অবস্থানে যাব : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের মতো ঘটনার প্রেক্ষাপটে শনিবার বান্দরবানের রুমার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের মতো ঘটনার প্রেক্ষাপটে শনিবার বান্দরবানের রুমার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে হামলা, ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের মতো ঘটনার প্রেক্ষাপটে পাহাড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর হওয়ার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

শনিবার রুমায় আনসার ব্যারাক, সোনালী ব্যাংক, রুমা উপজেলা মসজিদ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই অবস্থানের কথা জানান।

বান্দরবানে সশস্ত্র হামলা ও ব্যাংকে লুটপাট, পুলিশ ও আনসার সদস্যকে মারধর করে অস্ত্র ও গুলি ছিনতাই ঘটনার পর শনিবার সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বান্দরবানে পাহাড়ের নতুন সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি ও পুলিশের যৌথ সাঁড়াশি অভিযান শুরুর কথা জানানোর পরদিনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রুমায় গেলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই শান্তিপ্রিয় এলাকায় কোনোদিন এমন পরিস্থিতি হবে, আমরা চিন্তাও করিনি। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বসে থাকবে না। আমরা এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে যাব, কোনও ক্রমেই আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ হতে দেব না।”

তিনি বলেন, “এই শান্তিপ্রিয় এলাকায় অশান্তি হোক, আমরা চাই না। অশান্তি কারা করেছে, কাদের সহযোগিতা ছিল, এ ব্যাপারে আমরা খোঁজ নিচ্ছি, ব্যবস্থা নেব।

“কোনও জিনিসকে আমরা আন-চ্যালেঞ্জড যেতে দেব না। এর উৎস কোথায়, কীভাবে হলো– আমরা বের করব। কারও গাফিলতি আছে কিনা আমরা আগে দেখি, তারপরে আইনি সিদ্ধান্ত নেব।”

গত মঙ্গলবার রাতে বান্দরবানের রুমা উপজেলা সদরে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের শাখায় হানা দেয় সশস্ত্র ডাকাত দল। পরদিন বুধবার দুপুরে হামলা হয় পাশের উপজেলা থানচির সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের শাখায়।

স্থানীয়দের বর্ণনা অনুযায়ী, রুমায় কুকি-চিনের শতাধিক সশস্ত্র সদস্য ব্যাংকে হানা দিয়েছিল।

ওই সময় পুলিশ জানায়, সশস্ত্র ডাকাতরা ব্যাংকের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যদের মারধর করে মোট ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তবে সিআইডি জানায়, ব্যাংকের ভল্ট ভাঙতে পারেনি ডাকাতরা, দেড় কোটি টাকা অক্ষতই রয়েছে।

এরপর বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, পাহাড়ি সংগঠন কুকি-চিনের একটি গ্রুপ বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। বাসস।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত