কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা বাজারে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, দৌলতপুর সাব রেজিস্ট্রার অফিস থেকে চাঁদা তোলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে কমপক্ষে আটজন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে দৌলতপুর সাব রেজিস্ট্রার অফিস থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদা তোলা চলছে দীর্ঘদিন যাবৎ। আগে এসব চাঁদা তুলতো আওয়ামী লীগের কর্মীরা। এখন তোলে বিএনপির কর্মীরা। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন সেবা প্রত্যাশীরা।
বুধবার এই চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দৌলতপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাফর ইকবাল কর্নেলের অভিযোগ, উপজেলা ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কিছু নেতাকর্মী এই চাঁদাবাদির সঙ্গে জড়িত। তার বাবা দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আকবর হোসেনের নাম ভাঙ্গিয়ে এই চাঁদাবাজি করা হচ্ছিল। তাই কর্নেল ও আকবর হোসেন এই চাঁদাবাজির প্রতিবাদ জানান।
বিষয়টি পরে উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতা পর্যন্ত গড়ায়। কর্নেল জানান, এরপর দলের শীর্ষ নেতারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানের নির্দেশ দেন।
সে অনুযায়ী বুধবার সকালে দৌলতপুর উপজেলা বাজারে স্থানীয় বিএনপির কার্যালয়ে বৈঠকে বসে উভয় পক্ষ। পরে কথা কাটিকাটির একপর্যায়ে সাব রেজিস্ট্রার অফিসে চাঁদাবাজিতে অভিযুক্ত উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মাসুদুজ্জামান রুবেলের নেতৃত্বে জাফর ইকবাল কর্নেল ও তার সমর্থকদের উপর হামলা চালানো হয়।
হামলাকারীরা লাঠি সোঁটা দিয়ে তাদের বেধড়ক মারধর করে। এ সময় আকবর হোসেনকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় হামলাকারীরা। তাতে কর্নেলসহ কমপক্ষে আট জন আহত হন।
গুরুতর আহতদের দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়েছে। দলীয় হাইকমান্ডের কাছে এর বিচার দাবি করেন আহত কর্নেল।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুদুজ্জামান রুবেলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জানতে চাইলে দৌলতপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, “লোকমুখে জানতে পেরেছি যুবদল ও ছাত্রদলের মধ্যে ছোট সংঘর্ষ হয়েছে। তবে আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কেউ কোনও অভিযোগ নিয়ে আসেনি।”
এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি মাহবুবুর।