আগের ম্যাচেই করেছিলেন পেনাল্টি মিস। কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নিয়ে সমালোচনার তীর ধেয়ে আসছিল তাতে। ফ্রান্সের এই অধিনায়ক পাত্তা না দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘আমি কে, চেনাব’’।
নিজেকে চেনালেন এমবাপ্পে। আতালান্তার বিপক্ষে করেছেন অসাধারণ এক গোল। এটা চ্যাম্পিয়নস লিগে তার ৫০তম গোল। এমবাপ্পে প্রথম ৬ গোল করেছিলেন এএস মোনাকোর হয়ে, পিএসজির হয়ে ৪২টি আর রিয়ালের জার্সিতে করেছেন দুই গোল।
২৫ বছর ১১ মাস ২০ দিন বয়সে ৫০তম গোলের মাইলফলকে পা রাখলেন এমবাপ্পে। তার চেয়ে কম বয়সে ২৪ বছর ২৮৪ দিনে এই নজির গড়েছিলেন লিওনেল মেসি।
৭৯ ম্যাচে ৫০ গোল করেছেন এমবাপ্পে। তাতে দ্রুততম ৫০ গোলে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে পেছনে ফেললেন তিনি। রোনালদোর লেগেছিল ৯১ ম্যাচ। চ্যাম্পিয়নস লিগে দ্রুততম ৫০ গোলের তালিকায় এমবাপ্পে এখন চতুর্থ। রুড ফন নিস্টলরয় ৬২ ম্যাচে, লিওনেল মেসি ৬৬ আর রবার্ট লেভানডস্কি ৭২ ম্যাচে করেছিলেন ৫০ গোল।
এমবাপ্পে যে ছন্দে খেলছিলেন তাতে গোল পেতে পারতেন আরও। কিন্তু ৩৬ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। স্ট্রেচারে নয়, মাঠ ছাড়েন অবশ্য হেঁটে। ‘ইএসপিএন’ জানায় বাম উরুতে অস্বস্তি অনুভব করায় মাঠ ছাড়েন এমবাপ্পে। বুধবার পরীক্ষার পর জানা যাবে তার সবশেষ অবস্থা।
মাংসপেশীর ইনজুরিতে পড়ে গত সেপ্টেম্বরে আতলেতিকোর বিপক্ষে খেলতে পারেননি এমবাপ্পে। একই কারণে খেলেননি ফ্রান্সের হয়েও। তবে মঙ্গলবারের চোটটা গুরুতর নয় বলে অনুমান রিয়াল কোচ আনচেলোত্তির, ‘‘মনে হয় না এমবাপ্পের ইনজুরি গুরুতর কিছু। দেখা যাক, আগামীকাল (পরীক্ষায়) কী হয়। ও দৌড়াতে পারছিল না। অস্বস্তি বোধ করছিল। বাধ্য হয়েই তাকে তুলে নিতে হয়েছে। হয়তো অতিরিক্ত খেলার চাপে হয়েছে এটা (ক্লান্ত)।’’
ম্যাচের পর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলের স্টোরিতে ম্যাচের তিনটি ছবি পোস্টের পর চতুর্থটিতে রোনালদোর দুই হাতের আঙুল দিয়ে কিছু একটা বোঝানোর ছবি পোস্ট করেছেন এমবাপ্পে। সেই ছবির নিচে ডান দিকে মুখ বন্ধ রাখার ইমোজি। এর কারণ অবশ্য জানা যায়নি।