সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর ৮৫ হাজার সিটের একটিও খালি নেই। এমনকি স্টেডিয়ামের বক্সগুলোও মানুষে ঠাসা। কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নিজেদের খেলোয়াড় হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মুহূর্তে সাক্ষী হতে চেয়েছিলেন সবাই। তাদের সামনে দিয়েই বার্নাব্যুর টানেল ধরে ওপরে উঠে এলেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। তার স্বপ্ন সত্যি করে ভরা গ্যালারিতে বরণ করে নিল রিয়াল মাদ্রিদ।
এমবাপ্পে রিয়ালের খেলোয়াড় হয়েছেন আগেই। অপেক্ষা ছিল দর্শকদের সামনে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ শেষে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ফরাসি তারকাকে নিজেদের খেলোয়াড় হিসেবে সামনে আনলো রিয়াল।
গত মৌসুমে প্যারিস সেন্ত জার্মেইয়ের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে এমবাপ্পের। ফলে ফ্রি ট্রান্সফারে রিয়ালে যোগ দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মাদ্রিদের ভালদেবেবাসে চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সারেন। এরপর বার্নাব্যুতে তাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।
রিয়ালে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষা এমবাপ্পের অনেক আগে থেকে। ছোটবেলায় ট্রায়ালও দিয়েছিলেন মাদ্রিদের ক্লাবটিতে। যদিও হয়নি। বড় হয়ে মোনাকোতে আলো ছাড়নোর পরও আসতে চেয়েছিলেন মাদ্রিদে। এমনকি পিএসজিতে থাকা অবস্থাতেও এমবাপ্পে জানিয়েছেন, রিয়াল তার স্বপ্নের ক্লাব।
সেই স্বপ্ন অবশেষে পূরণ হয়েছে। পরিচয় পর্বেও দর্শকদের উদ্দেশ্যে তিনি জানিয়ে রাখলেন, “রিয়াল মাদ্রিদে খেলার স্বপ্ন আমার অনেক দিনের। আজ সেই স্বপ্নটা পূরণ হলো। এখানে (বার্নাব্যু) কী দারুণ পরিবেশ।”
২০১৭ সালে খুব কাছে গিয়েও রিয়ালের খেলোয়াড় হতে পারেননি। ২০২২ সালেও ঘটে একই ঘটনা। শেষ পর্যন্ত বার্নাব্যুতে আসতে পারার তৃপ্তি এমবাপ্পের কণ্ঠে, “আমি ধন্যবাদ দিতে চাই সভাপতিকে (ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ)। তিনি প্রথম দিন থেকে আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছেন। অনেক কিছুই ঘটেছে, যাই হোক শেষ পর্যন্ত আমি এখানে। এখন আমি রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়।”