Beta
বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে নিহত ১০

টানা বৃষ্টিতে উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে মাটিচাপা পড়াদের উদ্ধারে নামে ফায়ার সার্ভিস।
টানা বৃষ্টিতে উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে মাটিচাপা পড়াদের উদ্ধারে নামে ফায়ার সার্ভিস।
[publishpress_authors_box]

বর্ষার শুরুতেই টানা বৃষ্টি ভূমিধস নামিয়েছে কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে; তাতে নিহত হয়েছে অন্তত ১০ জন।

মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত উখিয়ায় মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে বুধবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস।

তার মধ্যেই ১, ৮, ৯, ১০ ও ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে নয়জনের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান।

নিহতদের মধ্যে আটজন রোহিঙ্গা, আর দুজন স্থানীয় বাংলাদেশি।

১০ নম্বর ক্যাম্পে নিহতরা হলেন- ব্লক ১০ এর আবুল কালামের ছেলে আবু মেহের (২৫), লাল মিয়ার ছেলে আবুল কালাম (৫৭), মতিউর রহমানের মেয়ে সলিমা খাতুন (৪২), শরিফ হোসেনের মেয়ে জয়নব বিবি (১৯)।

৯ নম্বর ক্যাম্পে নিহতরা হলেন- চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাট এলাকার আলী জহুরের ছেলে মো. হোসেন আহমেদ (৫০), ওই ক্যাম্পের আই ৪ ব্লকের আলী জোহারের মেয়ে আনোয়ারা বেগম (১৮) ও আই ৯ ব্লকের মো. জামালের ছেলে মো. সালমান (৩)।

৮ নম্বর ক্যাম্পে নিহত শিশুর নাম মো. হারেজ (৪), সে বি-৮২ ব্লকের বাসিন্দা। ১৪ নম্বর ক্যাম্পে নিহত ব্যক্তি হলেন উখিয়ার থাইংখালী এলাকার শাহ আলমের ছেলে আব্দুল করিম (১২)।

এর মধ্যে ৯ নম্বর ক্যাম্পে নিহত চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এলাকার হোসেন আহমেদ কোনও কারণে ক্যাম্পে অবস্থান করছিলেন। আর ১৪ নম্বর ক্যাম্পে মারা যাওয়া আব্দুল করিমের বাড়ি ওই ক্যাম্পের পাশেই।

১ নম্বর ক্যাম্পে নিহতের নাম পুতনী বেগম (৩৪)। তিনি এফ/৫ ব্লকের সুলতান আহমদের মেয়ে।

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চারটি স্থানে ঘটে পাহাড় ধস।

মিজানুর বলেন, বুধবার সকাল ৬টায় ১০ নম্বর ক্যাম্পের বক্ল সি ৩ এ পাহাড় ধসে মাটিচাপা পড়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লাশগুলো উদ্ধার করে। তার আগে রাত ৩টায় ৯ নম্বর ক্যাম্পের আই ৪ এ পাহাড় ধস ঘটে। সেখানে ৩ জনের লাশ মেলে। ভোর ৪টার দিকে ১, ৮ ও ১৪ নম্বর ক্যাম্পে পাহাড় ধসে মারা যায় আরও তিন জন।

সব লাশ উদ্ধার হয়েছে জানিয়ে মিজানুর বলেন, ক্যাম্পে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আরও কেউ ঝুঁকিপূর্ণ আছে কি না, তা দেখা হচ্ছে। তাদেরও সরিয়ে নেওয়া হবে।

দমন-পীড়নের মুখে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা ১৩ লাখ রোহিঙ্গার অধিকাংশই রয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার শরণার্থী শিবিরে। সেখানে বিভিন্ন পাহাড় কেটে বসতি স্থাপন করেছে এই রোহিঙ্গারা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত