রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর হামলা, মন্দির ভাঙচুর, লুটপাট ও জমি দখলসহ অত্যাচারের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ করেছে হিন্দুরা। নগরীর জামালখান চেরাগির পাহাড়ের মোড়ে বিশাল সমাবেশে সব বয়সী হিন্দু নারী পুরুষ জড়ো হন। এতে আন্দরকিল্লা থেকে চেরাগিপাহাড় গয়ে জামালখান মোড় পর্যন্ত পুরো এলাকা লোকারণ্য হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের যান চলাচল।
বাংলাদেশ হিন্দু জাগরণ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন এই জমায়েতের আয়োজন করে। গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর শূন্যতা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর চট্টগ্রামে এটি সবচেয়ে বড় সমাবেশ।
একই দাবিতে রবিবার বিকালে নগরীর আন্দরকিল্লা মোড়ে নতুন করে সমাবেশ ডেকেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, সংখ্যালঘু ঐক্য মোর্চাভুক্ত সংগঠনগুলো।
মুখে কালো কাপড় বেঁধে তারা সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদ জানান। হামলার সব ঘটনার বিচার দাবি করেন। নির্যাতন বন্ধ না হলে কঠোর কর্মসুচির হুশিঁয়ারি দেন তারা।
কর্মসূচিতে শিশু থেকে শুরু করে প্রবীণ নারী পুরুষও অংশ নেন। অনেকের হাতেই ছিল প্ল্যাকার্ড। সেসব প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল- ‘আমরা কেন স্বাধীন নই’, ‘আমার মন্দিরে হামলা কেন’, ‘দেশ ছাড়তে হুমকি কেন, রাষ্ট্র জবাব চাই’, ‘আমরা হিন্দু, রাষ্ট্র আমারও’, ‘মাইনরিটি ইজ নট আওয়ার আইডেনিডিটি’, ‘মানবসেবা যাদের ধর্ম তাদের ওপর হামলা কেন’, ‘বাঁচতে হলে লড়তে হবে, আঘাত আসবে যেখানে প্রতিরোধ হবে সেখানে’ ইত্যাদি।