১৯৭১ সালে সর্বশেষ বার্সেলোনায় জিতেছিল লাস পালমাস। শুধু অতীত ইতিহাস নয়, চলতি মৌসুমের পারফরম্যান্সও তাদের পক্ষে ছিল না। বার্সেলোনার উড়ন্ত ফর্মের বিপরীতে রেলিগেশন অঞ্চলে ছিল লাস পালমাসের অবস্থান। কিন্তু লা লিগায় দুই দলের এবারের সাক্ষাৎ অতীত-বর্তমানের সব হিসাব পাল্টে দিল। বার্সেলোনাকে তাদেরই মাঠে হারিয়ে দিয়েছে দ্য ইয়োলোরা।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) এস্তাদিও অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে বার্সেলোনাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে লাস পালমাস। দীর্ঘ ৫৩ বছর পর বার্সেলোনার মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরল দলটি। ঘরের মাঠের এই হারের পরও অবশ্য লিগ টেবিলের শীর্ষে রয়েছে কাতালানরা। ১৫ ম্যাচে তাদের ৩৪ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ৪ পয়েন্টে এগিয়ে। যদিও মাদ্রিদের ক্লাবটি বার্সেলোনার চেয়ে ২ ম্যাচ কম খেলেছে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ছিল বার্সেলোনার ১২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। বিশেষ দিনটি দলের বর্তমান ও সাবেক খেলোয়াড়দের সঙ্গে উদযাপন করেছে কাতালান ক্লাবটি। লাস পালমাসের বিপক্ষে মাঠেও সেটির রেশ ছিল। জিতলে আরও বড় উৎসব হতো। তবে বার্সেলোনার সব উপলক্ষ মাটি করে দিয়েছে পালমাস।
প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও এগিয়ে যেতে পারেনি বার্সেলোনা। ফলে গোলশূন্য স্কোরলাইন রেখে বিরতিতে যায়। ফিরে এসেই গোল হজম করে স্বাগতিকরা। ৪৯ মিনিটে বার্সেলোনা সমর্থকদের স্তব্ধ করে দিয়ে লাস পালমাসকে এগিয়ে নেন সান্দ্রো রামিরেস। ডান পায়ের আড়াআড়ি শটে জাল খুঁজে নেন তিনি।
ম্যাচে ফিরতে অবশ্য খুব একটা সময় লাগেনি কাতালানদের। ৬১ মিনিটে দারুণ এক গোলে সমতা ফেরান রাফিনিয়া। চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই ব্রাজিলিয়ান মাটি কামড়ানো শটে জাল খুঁজে নেন। এরপর এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা। কয়েকবার কাঁপিয়েও দিয়েছিল লাস পালমাসের রক্ষণ। চোট কাটিয়ে ফেরা লামিন ইয়ামালের দুটি প্রচেষ্টা প্রতিহত হয় সফরকারী গোলকিপার ইয়াসপার সিলেসেনের চমৎকার সেভে।
বার্সেলোনা না পারলেও ধারা বিপরীতে গিয়ে গোল পেয়ে যায় লাস পালমাস। ৬৭ মিনিটে সফরকারীদের এগিয়ে নেন ফাবিও সিলভা। মাঝমাঠে দারুণভাবে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ক্ষীপ্রগতিতে এগিয়ে যান এই পর্তুগিজ। আগুয়ান বার্সা গোলকিপার ইনাকি পেনার হাতের নিচ দিয়ে বল জালে জড়াতে কোনও অসুবিধাই হয়নি তার।
এরপর ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করলেও পারেনি বার্সেলোনা। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় হান্সি ফ্লিকের দলকে। চলতি মৌসুমে লিগে এটি তাদের তৃতীয় হার।
